Advertisment

উন্নয়ন আটকাচ্ছেন জেলাশাসক, অভিযোগ বাংলার বিজেপি সাংসদের

"উনি প্রথমবার সাংসদ হয়েছেন। অনেক কিছুই তাঁর জানা নেই। তাই অসুবিধা হচ্ছে।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
sukanta majumder, nikhil nirmal, mp lad fund, bjp,

সাংসদ উন্নয়নের তহবিলের ব্য়বহার নিয়ে তোপ, পাল্টা তোপ।

বিজেপি সাংসদের উন্নয়ন তহবিলের টাকা খরচে টালবাহানা করছে জেলা প্রশাসন। খোদ জেলাশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তবাবুর অভিযোগ, "সাংসদ তহবিলের টাকা খরচে প্রশাসন অসহযোগিতা করছে। জেলাশাসক আটকে দিচ্ছেন।" জেলাশাসক নিখিল নির্মলের স্পষ্ট বক্তব্য, "উনি প্রথমবার সাংসদ হয়েছেন। প্রকল্প রূপায়ণের বিষয়গুলো জানেন না বলে অসুবিধা হচ্ছে।"

Advertisment

সম্প্রতি রাজ্যের সাংসদরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দলের সাংত্গঠনিক বিষয়ের পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নের বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন। বঙ্গ বিজেপির দাবি, তাঁদের সাংসদদের অধিকাংশের উন্নয়ন তহবিলের টাকা খরচ করা যাচ্ছে না। অভিযোগ, মূলত প্রশাসনের অসহযোগিতাই মূল কারণ। যার ফলে সাধারণের উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: শোভন চাইলে আমি হাসিমুখে সরে যাব: রত্না

বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, "নানা অজুহাত খাঁড়া করে জেলা প্রশাসন সাংসদ তহবিলের উন্নয়নের টাকা খরচ করছে না। আমার দেওয়া বেশিরভাগ প্রকল্প আটকে দেওয়া হচ্ছে। ওয়ার্ক অর্ডার বেরনোর পর অজুহাত দেওয়া হচ্ছে। কখনও জেলাশাসক আটকাচ্ছেন। কখনও জেলাশাসক ছেড়ে দেওয়ার পর যেখানে প্রকল্প হবে সেখানে নো-অবজেকশন দেওয়া হচ্ছে না। ইচ্ছে করেই এমন কাজ করা হচ্ছে।"

কোন কোন ক্ষেত্রে কাজ আটকানো হয়েছে তা-ও বলেছেন এই বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, "বালুরঘাট খিদিরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাউন্ডারি ওয়ালের প্রোপোজাল দিয়েছিলাম। বুনিয়াদপুরে রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে জেনেরেটর বসানোর কথা ছিল। এর কোনওটাই বাস্তবায়িত হয়নি। দেড় কোটি টাকা পড়ে আছে কোনও কাজ হচ্ছে না। সাংসদ কোটার টাকা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। প্রকল্প রূপায়ণের নিয়ম অনুযায়ী জেলাশাসক কাজ করছেন না। একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের ৭৫ শতাংশ ভর্তুকি আছে। তেমন একটা প্রকল্প হচ্ছে।"

আরও পড়ুন: রাজ্যসভার পঞ্চম আসনে লড়াইয়ের ইঙ্গিত

যদিও দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল বিজেপি সাংসদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বরং জেলাশাসক দাবি করেছেন সাংসদের অফিস থেকে তাঁর দফতরে যোগাযোগ করা হয় না। নিখিল নির্মল বলেন, "উনি প্রথমবার সাংসদ হয়েছেন। অনেক কিছুই তাঁর জানা নেই। তাই অসুবিধা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে কাজ হয় না। প্রোপোজাল দিলেই হবে না। প্রকল্পের এস্টিমেট করতে হবে। তার অনুমোদন চাই। তারপর নিয়মিত খোঁজ নিতে হবে। কাজগুলো করতে সময় লাগবে। ওনার ব্য়াংক অ্য়াকাউন্ট নিয়েও সমস্য়া ছিল। হয়ত দেড় মাস আগে তা ঠিক হয়। এমপি ল্য়াডের টাকা সবে ঢুকেছে।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bjp
Advertisment