কলকাতা বন্দরের নাম বদল নিয়ে বিতর্কের আবহেই এবার নতুন নামকরণ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়্যাল হলের? ভিক্টোরিয়ার নাম বদলে ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের নামে করা হোক, এমন দাবিই করেছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। যা ঘিরে নতুন করে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
ঠিক কী বলেছেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী?
কলকাতা বন্দর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিজেপি নেতা টুইটারে লিখেছেন, ‘‘কলকাতায় নমোর বক্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা ইতিহাসের পর্যালোচনা করে দেখতে পারি। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়্যালের নাম রানি ঝাঁসি স্মারক মহল করে নিজের বক্তব্যকে কার্যকরী করা দরকার ওঁর। ১৮৫৭ সালে রানি ঝাঁসির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ভারত দখল করেছিলেন রানি ভিক্টোরিয়া। তারপর ৯০ বছর ধরে লুঠ করেন’’।
আরও পড়ুন: ‘সিএএ প্রত্যাহার হোক, বাতিল হোক এনআরসি-এনপিআর’, প্রস্তাব ২০ বিরোধী দলের বৈঠকে
আরও পড়ুন: নাম বদল বিতর্কে মোদী-মমতাকে এক সূত্রে গাঁথলেন সেলিম-সোমেন, প্রশ্ন তুললেন অভিষেকও
উল্লেখ্য, রবিবার কলকাতা বন্দরের ১৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, বন্দরের নয়া নামকরণ করা হবে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে। মোদীর এই ঘোষণার পরই বিতর্ক শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘কলকাতা বন্দরের নাম পশ্চিমবঙ্গের এক স্বনামধন্য ব্যক্তির নামে রেখেছেন, ভাল কথা। এতে আপত্তি নেই। কিন্তু, তাতে বাংলার সাধারণ মানুষের খুব একটা লাভ হবে না। এর বদলে প্রধানমন্ত্রী যদি বন্দর বা জলপথ উন্নয়নের কোনও প্রকল্প ঘোষণা করতেন তাহলে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের সুযোগ বাড়ত। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে যথার্থ উপহার হত তা’’। মোদীকে বিঁধতে আসরে নেমে বাম ও কংগ্রেসও। এ প্রসঙ্গে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থানমুখি নতুন কোনও উদ্যোগের ঘোষণা করতে পারতেন। গভীর সমুদ্র বন্দর, কলকাতা-হলদিয়া বন্দরের উন্নয়ন নিয়ে কিছুই বললেন না। উনি গেম চেঞ্জার নন, মমতার মতোই নেম চেঞ্জার’’। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের কথায়, ‘‘মোদী ও দিদির মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। এঁরা হলেন একই মুদ্রার দু’পিঠ।’ বিরোধিতার মধ্যেও বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের গলায় বিজেপি-তৃণমূলের থেকে সমদূরত্বের নীতি বজায় রাখার প্রয়াস বজায় রইল’’।