একসময় তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে, বিনোদ তাওড়ে নামটা বাংলায় বিশেষ দাগ কাটেনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অত্যন্ত কাছের এই মারাঠি নেতাকে এবার বিহারের দায়িত্ব দিল বিজেপি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে তাঁকে এই বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কারণ, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মতে বিহারে বিজেপির সংগঠন বেশ দুর্বল। প্রধান মিত্র নীতীশ কুমার এনডিএ ছেড়ে আরজেডির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। তারপরই বিজেপি বিহারে ক্ষমতা হারিয়েছে। এমনটা যে হতে চলেছে, তা আগেভাগে বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন বিহার বিজেপির নেতারা। তাই বিহারের জটিল রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাওড়ের চওড়া কাঁধে ভরসা রাখল দল।
গত নভেম্বরেই তাওড়েকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে বসানো হয়েছে। তার আগে তিনি হরিয়ানার দায়িত্বে ছিলেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছিলেন। যেখানে তাওড়েই ছিলেন প্রধান সমন্বয়কারী। এনডিএ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর প্রতি সমর্থন জোগাড় করতে তাওড়ে ব্যাপকভাবে গোটা দেশ চষে ফেলেছিলেন।
অথচ ২০১৯ সালে মুম্বইয়ের বোরিভালিতে ১১ ঘণ্টার নোটিসে এই তাওড়ের প্রার্থীপদই কেড়ে নিয়েছিল বিজেপি। সেই সময় তিনি ছিলেন বোরিভালির বিদায়ী বিধায়ক। তাঁর পরিবর্তে টিকিট দেওয়া হয়েছিল সুনীল রানেকে। তাওড়ে অপমানিত হলেও দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি, চুপ থেকেছেন। তার পুরস্কার মিলেছিল ২০২০ সালে। তাঁকে জাতীয় সম্পাদক করে হরিয়ানার দায়িত্ব দেয় দল। ২০২১ সালে তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তারপরই শুক্রবার দায়িত্ব দেওয়া হল বিহারের।
আরও পড়ুন- টুইটে ক্লিপ প্রকাশ, রাহুলকে হিন্দুত্ববিরোধী প্রমাণের চেষ্টা বিজেপি নেতার, মোক্ষম জবাব কংগ্রেসের
একসময়ের বাতিল ঘোড়াই এখন দলের সবচেয়ে আস্থাভাজনদের একজন। স্বভাবতই খুশি তাওড়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমি দলের সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্ব ও নির্দেশে আমরা সবাই একজোট হয়ে লড়াই করব।'
Read full story in English