নারদ মামলায় তৃণমূলের মন্ত্রী ও নেতাদের সিবিআই গ্রেফতারি নিয়ে অশান্ত হয়েছে রাজ্যের একাধিক প্রান্ত। নিজাম প্যালেসে মন্ত্রীদের নিয়ে আসার পর এবং মুখ্যমন্ত্রীর সিবিআই দফতরে অবস্থানের পর থেকেই উত্তপ্ত হতে শুরু করে নিজাম প্যালেসের বাইরের পরিস্থিতি। ভিড় জমাতে শুরু করেন অসংখ্য তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। শুরু হয় ইটবৃষ্টি, লাঠিচার্য। গোটা ঘটনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুষলেন জগদীপ ধনকড়।
সদ্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মমতা। রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীও তিনি। এদিন টুইটে রাজ্যপাল বলেন, "রাজ্যে নৈরাজ্য চলছে, পুলিশ-প্রশাসন নীরব। প্রতি মিনিটে পরিস্থিতি বিস্ফোরক হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। পরিস্থিতিকে হাতের বাইরে চলে যেতে দেওয়া হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সমস্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। টিভিতে দেখছি সিবিআই অফিস লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হচ্ছে। আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। দর্শকের ভূমিকায় কলকাতা পুলিশ, দেখে করুণা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন, ‘আগে আমাকে গ্রেফতার করুন, না হলে CBI দফতর ছাড়ব না’, চ্যালেঞ্জ মমতার
এরপর আরেকটি টুইটে জগদীপ ধনকড় বলেন, "উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত সাংবিধানিক নিয়মাবলী এবং আইনের শাসন অনুসরণ করা। আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অবশ্যই সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে কলকাতা পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র দফতরকে। দুঃখের বিষয়- কর্তৃপক্ষের দ্বারা কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।"
আরও পড়ুন, ‘শুভেন্দুর নাম নেই কেন’ প্রশ্ন ম্যাথুর, সুপ্রিম নির্দেশেই গ্রেফতার দাবি রাহুলের
এদিকে, রাজ্যপালের এই টুইটের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, রাজ্যপাল প্ররোচনা দিচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, পুরো ঘটনা বিজেপির পরিকল্পিত চক্রান্ত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন