আচমকাই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায় চৌধুরীর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করল রাজ্য প্রশাসন। দিন কয়েক আগেই মালদহে সভা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। মঞ্চে দেখা যায় কৃষ্ণেন্দুনারায়ণকে। তাহলে হঠাৎ কেন তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হল? কারণ তাঁর জানা নেই বলে দাবি করেছেন মালদহের এই তৃণমূল নেতা। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের সঙ্গে দূরত্ব ছিলই কৃষ্ণেন্দুবাবুর। এরপর দলীয় বিধায়কের বাড়িতে হামলার ঘটনাতেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে তাঁকে। ফলে সেই ফাটল ক্রমশ বেড়েছে। সবমিলিয়ে ভোটের আগে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর দল বদলের জল্পনা তুঙ্গে।
৯৫ সাল থেকে নিরাপত্তারক্ষী ছিল কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর। পরে মন্ত্রী হোযার পর সুরক্ষা কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। পরে ভোটে পরাজিত হয়ে মন্ত্রিত্ব গেলেও তাঁর নিরপত্তা ছিল। কিন্তু, বর্তমানে এই তৃণমূল নেতার নিরাপত্তা প্রত্যাহর করেছে জেলা প্রশাসন। কৃষ্ণেন্দুবাবু জানিয়েছেন, তিনি গাড়ি নিয়ে তিন নম্বর ওয়ার্ডে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁর এক সিকিউরিটিকে ফোনে বলা হয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরেই অফিসে ফিরে নিরাপত্তারক্ষীদের ছেড়ে দেন।
আরও পড়ুন- ব্যাপক সাফল্য ‘দিদির দূত’ অ্যাপের, ২০ দিনের মধ্যেই পাঁচ লক্ষেরও বেশি সাবস্ক্রাইবার
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, '৯৫ সাল থেকেই আমার নিরাপত্তা ছিল। কিন্তু জানি না হঠাৎ কেন তা তুলে নেওয়া হল।' নিরাপত্তা প্রত্যাহার কী তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্বের ইঙ্গিত? এই জল্পনা প্রসঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেছেন, 'এখনও দলবদলের কোনও কথা ভাবিনি। আমি কোথাউ যেতেও চাই না।' গোটা বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে তিনি জানিয়েছেন বলে দাবি কৃষ্ণেন্দুবাবুর।
সম্প্রতি বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনা ঘটে। বিধায়কের বাড়ির সামনে থাকা বাইকে ভাঙচুর চালানো হয়। বিধায়ককে লক্ষ্য করেও ঢিল ছোঁড়ারও অভইযোগ ওঠে। এই হামলায় কাঠগড়ায় তোলা হয় প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী এবং তাঁর অনুগামী তথা মালদহের যুব তৃণমূলের সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের। এরপরই প্রাক্তন মন্ত্রী-সহ অভইযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়। যদিও এখনও কেউ গ্রেফতার হননি। কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সঙ্গে এই বিষয়টিও জড়িয়ে থাকতে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন