এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রাজস্থানের মত ছত্তিশগড়ও কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছে। রাজস্থানে অশোক গেহলট আর শচীন পাইলটের মধ্যে লড়াইয়ের কথা সকলেই জানেন। ছত্তিশগড়েও কিন্তু কংগ্রেসের নেতাদের মধ্যে এমনই অনৈক্য ছিল। এই রাজ্যে লড়াইটা ছিল মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ও উপমুখ্যমন্ত্রী টিএস সিংদেওয়ের মধ্যে। এই টিএস সিংদেও ছত্তিশগড়ের রাজপরিবারের সদস্য।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল
৭১ বছর বয়সী এই নেতার একসময় ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ারও কথা ছিল। এমনকী কথা হয়েছিল, বাঘেল আড়াই বছর এবং টিএস সিংদেও আড়াই বছর করে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। কিন্তু, কংগ্রেস হাইকমান্ড বাঘেলের প্রতি সদয় থাকায় সেই পরিস্থিতি কখনও আসেনি। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মুখে সিং দেও-কে ছত্তিশগড়ে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। কিন্তু, তাতে লাভ বিশেষ হয়নি। তিনি নিজের বিধানসভা কেন্দ্র অম্বিকাপুরে ৯৪ ভোটে হেরে গেছেন। আর, তাঁর রাজপরিবারের গড় বলে পরিচিত সরগুজায় কংগ্রেস পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। নির্বাচনে পরাজয়ের পর তাঁর মুখোমুখি হয়েছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
প্রশ্ন- এই পরাজয়, কংগ্রেস ছত্তিশগড়ে ঠিক কী ভুল করল?
টিএস সিং দেও- এখানে দুর্নীতি একটা বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে। পিএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, বাসিন্দাদের মনে প্রভাব ফেলেছে। বিজেপি তাকেই হাতিয়ার করেছে। অমিত শাহ প্রচারে এসে এই সব বিষয়েই বলে গেছেন। আমরা কাউন্টার করতে পারিনি। শহরের এলাকায় (কংগ্রেসের অভ্যন্তরে বাঘেলের এলাকা বলে পরিচিত) তা ভালো প্রভাব ফেলেছে। অথচ, হারের কারণ হিসেবে উপজাতি এলাকাগুলোর দিকে (টিএস সিং দেও-এর দায়িত্বে থাকা অঞ্চল) আঙুল তোলা হচ্ছে।
প্রশ্ন- ব্যাপারটা এত সহজ, মানে বিজেপি প্রচার করল আর আপনাদের ক্ষমতা চলে গেল?
টিএস সিং দেও- আসলে আমরা মানুষের কাছে পৌঁছতে পারিনি। রায়পুরে ২০ আসনের মধ্যে ৪টি আসনে জিতেছি। মুখ্যমন্ত্রী বাঘেলের জেলা দুর্গ-এ আমরা ২০-এর মধ্যে ১০টি আসনে জিতেছি। অথচ, গ্রামীণ এলাকা যেখানে বেশি, সেই রাজনন্দনগাঁওয়ে আমরা ৬টির মধ্যে ৫টি আসন পেয়েছি। এছাড়া উপজাতি এলাকাতেও বেশ কিছু সমস্যা ছিল। বস্তার, সারগুজায় নানা সমস্যা ছিল।
আরও পড়ুন- হাতের মার-প্যাঁচ জয় করে তেলেঙ্গানার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? ঘোষণা করল কংগ্রেস
প্রশ্ন- আপনি অম্বিকাপুরে হেরে গেছেন। নিজের পরাজয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
টিএস সিং দেও- প্রথম এবং সর্বাগ্রে, এটা আমার নিজের দায়িত্ব। আমি নিজেকে একজন ভালো প্রার্থী হিসেবে উপস্থাপন করতে পারিনি। আবার শহরাঞ্চলে আমি ৮,৫০০-এরও বেশি কম ভোট পেয়েছি। সেখানেও আমার ব্যক্তিগত দায়িত্ব সংশোধন করার। সেই জন্য আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করব।