দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী গত কয়েকদিনে তাঁর জোড়া-ফুল শিবির ত্যাগের সম্ভাবনাও প্রকট হয়েছে। নন্দীগ্রেমের তৃণমূল বিধায়কের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই রাজ্যের শাসক দলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে বিজেপিতে স্বাগত জানিয়ে জল্পনা কয়েকগুণ বাড়িয়েছেন বাংলার বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শুভেন্দু অধিকারীর বিভিন্ন মন্তব্যের স্পষ্ট হচ্ছে যে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর বনিবনা ঠিক নেই। 'আমরা দাদার অনুগামী' ব্যানারে বেশ কয়েকটি সভা করেছেন তিনি। চেষ্টা করছেন নেতৃতের প্রতি বার্তা পৌঁছে দেওয়ার। দলে যে কোন্দল রয়েছে আরেক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কথাতেও তা ধরা পড়েছে। শুভেন্দু প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ' শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপি ওদের মুরলীধর সেন লেনে বসাক।' এরপরও কিন্তু থামেননি শুভেন্দু। উল্টে আরও শনিবার সুর চড়িয়ে মন্ত্রী বলেছেন, 'প্যারাস্যুটে নামিনি। লিফটে উঠিনি। সিঁড়ি ভেঙে উঠেছি। ছোটলোকদের নিয়ে কথা বললে আমি তার উত্তর দিই না। কেউ কেউ অতীত ভুলে যায়, যা দেখে আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি,লাগে।'
এরপরই রবিবার তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ জনপ্রিয় নেতাকে দলে স্বাগত জানিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনার জন্য আগামী কয়েকদিন নয়া খোরাক যোগালেন মেদিনীপুরের সাংসদ। প্রথমে বিষয়টিকে তৃণমূলের অন্দরের ব্যাপার বলে এড়িয়ে গেলেও এ দিন পরে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'ওনারা ওকে বিজেপিতে পাঠিয়েই ছাড়বেন। আমরা দরজা বড় করে খুলে রেখেছি সবাইকে নেওয়ার জন্য। ওনারা যদি কাউকে পাঠিয়ে দেন আমরা দলে নেব। একজন রাজনীতিবিদ রাজনীতি করতে চাইলে বিজেপি সুযোগ দেবে।' একই সঙ্গে অবশ্য দিলীপবাবু জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কারোর কোনও আলোচনা এগোয়নি।
এর আগেও শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি যোগের জল্পনা তৈরি হয়েছিল। মন্ত্রী অবশ্য তৃণমূলেই রয়ে গিয়েছিলেন। শনিবারই নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানিয়েছেন, আগামী ১০ নভেম্বর তিনি সবকিছু খোলসা করবেন। সেদিই কি তাহলে জোড়া-ফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখাবেন রাজ্যে পরিবর্তনের অন্যতম নেতা? উত্তরের অপেক্ষায় বাংলা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন