একের পর এক ব্রিগেডে জনসভার তারিখ বদলেছে বিজেপি। বুধবার বিজেপির রাজ্য দপ্তরে সাংগঠনিক বৈঠক শেষে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন, ৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে জনসভা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ রাজ্যে পাঁচটি সভা করবেন। তিনি জানান, ২০ জানুয়ারি মালদায় সভা করবেন অমিত শাহ। ২১ জানুয়ারি সিউড়ি ও ঝাড়গ্রামে জনসভা করবেন তিনি। তার পরের দিন সভা করবেন কৃষ্ণনগর ও জয়নগরে। স্পষ্টতই সুপ্রিম কোর্ট রথযাত্রা বাতিল করে দেওয়াতে রাজ্যে বিজেপির জনসভার এই ঢল নেমেছে।
আরও পড়ুন: ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে মমতার পাশে কে কে আছেন?
রথযাত্রা বাতিল হওয়ায় এদিন বিজেপির রাজ্য দপ্তরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বৈঠক করেন রাজ্য নেতৃত্ব। বৈঠকে ছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, শিবপ্রকাশ, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রথযাত্রার বিকল্প হিসাবে নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি নেওয়া হবে। দলকে সাংগঠনিকভাবে চাঙ্গা করতে অমিত শাহের সভাগুলোকে হাতিয়ার করতে চায় দল। এর পাশাপাশি যুব মোর্চা বাইক বা সাইকেল র্যালি, এসসি ও এসটি মোর্চা এবং মহিলা মোর্চা বাড়ি বাড়ি প্রচার করবে ব্রিগেড সফল করতে।
হাইকোর্টে সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চ-এ অনেক দিন ধরেই রথযাত্রার অনুমতি নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করেছে বিজেপি। শেষমেশ অনুমতির আবেদন করে বঙ্গ বিজেপি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেখানেও অনুমতি মেলেনি। বুধবার ফের গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার অনুমতি চেয়ে নবান্নে আবেদন করেছে রাজ্য় বিজেপি। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার দলের সেই চিঠি জমা দিয়েছেন নবান্নে। এদিন মুকুল রায় জানান, ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি গণতন্ত্র যাত্রার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ২২ তারিখ ২টো যাত্রা হওয়ার কথা। গঙ্গাসাগরের যাত্রার পরিবর্তে কৃষ্ণনগরে যাত্রা শুরু হবে। অর্থাৎ অমিত শাহ যে তিন দিন সভা করবেন সেই দিনগুলোতেই গণতন্ত্র যাত্রা করতে চায় বিজেপি। রাজ্য় বিজেপি মনে করে, অনুমতি হয়ত এবারও দেবে না রাজ্য় প্রশাসন। তবু সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী রাজ্য়ের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে বিজেপি বিরোধী মহাজোট গঠন করার ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সভায় হাজির থাকবেন। ৩ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে সমাবেশ করতে চলেছে সিপিএম। এমন পরিস্থিতিতে রথযাত্রা বাতিল হতে থাকায় বড় ধরনের কর্মসূচি নিতে পারছে না বিজেপি। ব্রিগেডের সভাও করতে পারছে না পদ্মশিবির। ইতিমধ্যে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহর সভাও বাতিল করতে হয়েছে। তাই আপাতত বিজেপি ৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে সভা করার কথা ঘোষণা করেছে। তারই প্রস্তুতিতে সভা করবেন অমিত শাহ সমেত অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।