রাজ্যে তিন বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের পারদ ক্রমশ চড়ছে। এরই মধ্য়ে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুল রায়ের দাবি, "ফল ঘোষণার পর ফের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে যাবে।" এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, ১০৭ জন বিধায়কের তালিকা তিনি জমা দিয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর কাছে। এখনও অনেক তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে আসতে চাইছেন বলেও তাঁর দাবি।
উল্লেখ্য, তৃণমূল-সহ অন্যান্য দল থেকে বিজেপি-তে যোগদান এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে পৃথক 'যোগদান মেলা' নামক কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল পদ্মশিবির। তবে এরপরই যোগদানের গতি কমে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার একের পর এক পুরসভা ফের বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেমন, কাঁচরাপাড়া পুরসভা আগেই দখল করেছে ঘাসফুল। তৃণমূলের দাবি, ভাটপাড়া পুরসভা সরকারিভাবে দখল করা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তৃণমূলের দাবি, মুকুল ও অর্জুনের গড়ে বিজেপিকে অনেকটা দুর্বল করার লক্ষ্যে তারা অনেকটাই সফল। তবে এরপরও তৃণমূল আরও ভাঙবে বলেই মনে করেন একদা মমতার 'দক্ষিণ হস্ত' মুকুল রায়।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার বাড়িতে শোভন-বৈশাখী, সঙ্গী বিজেপি নেতা
উপিনর্বাচনের পর তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়ার ঢল নামবে বলে ফের দাবি করলেন মুকুল রায়। বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে তিনি বলেন, "বিজেপি নিজের গতিতে এগোচ্ছে। সেই গতিতে কারও ইচ্ছে হলে আসবে, কারও ইচ্ছে হলে যাবে। পার্টি কাকে রাখবে, কাকে কাজ দেবে, কাকে কাজ দেবে না, এটা একান্তই পার্টির সিদ্ধান্ত।"
উল্লেখ্য, ২৫ নভেম্বর খড়্গপুর, করিমপুর ও কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন। ২৮ নভেম্বর ফলপ্রকাশ। সদ্য লোকসভা নির্বাচনের পর ও আগামী পুরভোটের আগে এই উপ নির্বাচন বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বড় অগ্নিপরীক্ষা। বস্তুত, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব এই তিন কেন্দ্রে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্নায়ুর লড়াইতে এগিয়ে থাকতে চাইছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বৃহস্পতিবার ছিলেন কালিয়াগঞ্জে। সেখান থেকেই মুকুলবাবুর দাবি, "এই তিনটে বিধানসভা কেন্দ্রেই বড় ব্যবধানে জয় পাবে বিজেপি। এখনও বিধায়করা দলে আসার ইচ্ছেপ্রকাশ করছে। তবে ২৮ নভেম্বরের পর বিজেপিতে যোগের হিড়িক পড়ে যাবে।"