আজই বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশজুড়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে শেষমেশ পিছু হঠেছে মোদী সরকার। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে গোটা দেশের কৃষকদের জয় দেখছেন কৃষকসভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার। এবার এরাজ্যেও তৈরি হওয়া দুটি কৃষি আইন বাতিলের দাবি তুলেছেন এই কৃষক নেতা। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে এদিন তিনি বলেন, 'এটা গোটা ভারতবর্ষের কৃষকদের জয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও ২০১৪ ও ২০১৭ সালে যে কৃষি আইন তৈরি করেছিল তাও এবার প্রত্যাহার করতে হবে।'
কেন্দ্রের নতুন তিনটি কৃষি আইনের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল গোটা দেশ। রাজ্যে-রাজ্যে বিজেপি বিরোধিতার সুর চড়া হচ্ছিল। দেশজুড়ে সাঁড়াশি প্রতিবাদের জেরে শেষমেশ পিছু হঠেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজই নতুন তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এদিন বলেন, ‘এই আইন আনার পিছনে আমাদের সত্ উদ্দেশ্য ছিল। শুরু থেকেই কৃষকদের বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। তিনটি আইনকে স্বাগতও জানিয়েছিল একাধিক কৃষক সংগঠন। তবে দু’বছর ধরে সেই আইনের প্রয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছিল। এবার তিনটি কৃষি আইনই প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।’
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে শুরু থেকেই কৃষকদের পাশে থেকে আওয়াজ তুলেছে বামপন্থীরা। কিষান মোর্চা কমিটি ও সারা ভারত কৃষক সভার মতো বামপন্থী সংগঠনগুলি শুরু থেকেই কৃষকদের পাশে থেকে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। নতুন তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে রাজ্যে-রাজ্যে রেল রোকো, রাস্তা রোকো কর্মসূচিতেও দেখা গিয়েছে বাম নেতাদের। দিল্লির সীমানা ঘেরাও করে লক্ষ-লক্ষ কৃষকদের বিক্ষোভের নেতৃত্বেও ছিল একাধিক বামপন্থী কৃষক সংগঠন।
কেন্দ্রের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এরাজ্যেও দফায়-দফায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ হয়েছে। কৃষি বিল প্রত্যাহারের ঘোষণায় এদিন স্বভাবতই খুশি সিপিএমের শাখা সংগঠন কৃষক সভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে এদিন তিনি বলেন, 'গোটা ভারতবর্ষে বাম আন্দোলনের ইমেজ বাড়ল। রেল রোকো, রাস্তা রোকো অনেক কিছু হয়েছে। এটা গোটা দেশের কৃষকদের জয়। এই জয় কোনও দল, সংগঠনের নয়। নতুন করে আইন এলে আবার আন্দোলন হবে। আন্দোলন করে যে জেতা যায়, এই জয় সেটিই দেখিয়ে দিল।'
আরও পড়ুন- ‘এই জয় আপনাদের’, কৃষি বিল প্রত্যাহারে কৃষকদের অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর
পশ্চিমবঙ্গ সরকারও ২০১৪ ও ২০১৭ সালে কৃষি আইন তৈরি করেছে। কৃষক নেতা অমল হালদারের অভিযোগ, কর্পোরেটদের হাতে কৃষি ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার জন্যই রাজ্য ওই আইন তৈরি করেছিল। রাজ্য সরকারের তৈরি ওই আইনও অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন অমল হালদার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন