শুক্রবার তৃণমূল ভবনে ছিল কোর কমিটির বৈঠক। বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে আগামী ১৯ জানুয়ারির কর্মসূচিতে যোগদান করানোর পরিকল্পনা সেরে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, এদিন বৈঠকে সেই পরিকল্পনাকে আরও পাকাপোক্ত করে তুললেন। বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল, কোনোভাবেই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জন্য এক চিলতে জায়গা ছাড়তে নারাজ মমতা। তাই কেরালার মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য পিনারাই বিজয়নকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাঁর এই বৃহৎ সমাবেশে যোগদান করার জন্য। ২০১৯ এর ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশে সাফল্যে দেখতে চান, তাই দলের কর্মীদের ঢিলেমি না করে নড়েচড়ে বসার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিজেপিকে পরাস্ত করতে ঘোর বিরোধী সিপিএমের সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করে নিতে একটুও দ্বিধা বোধ করবেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকের ঘোষণা থেকে স্পষ্ট যে তিনি বিজেপিকে পরাস্ত করতে সিপিআইএমের সঙ্গে হাত মেলাতে চান। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে এক জোট গঠন করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। এই সমাবেশটিতেই প্রথম "ফেডারেল ফ্রন্ট" গঠন করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ইডিতে, এখন যাবেন না তাপস পাল
এদিনের বৈঠকে তিনি বলেন, "সিপিআইএম এখনও আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এখনও আমি মনে করি যে সব বামপন্থী খারাপ নয়। তাই ১৯ জানুয়ারি সমাবেশে কেরালার মুখ্যমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছি। একইসঙ্গে সভায় অংশগ্রহণের জন্য সিপিআই, আরএসপি এবং অল ইন্ডিয়া ফরোয়ার্ড ব্লকের মতো অন্যান্য বামপন্থী দলগুলোর নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানাব।" গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের সদর দফতরে দলের বাকি নেতাদের জানান, আমাদের জন্য কেউই অস্পৃশ্য নয়।
ইতিমধ্যে বিজেপি বিরোধী বাকি দলের নেতাদেরও পাঠানো হয়ে গেছে আমন্ত্রণ পত্র, তাঁদের মধ্যে টিডিপি সভাপতি চন্দ্রবাবু নাইডু, এনসি নেতা ওমর আবদুল্লাহ এবং এএপি সভাপতি অরবিন্দ কেজরিওয়াল সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন তা নিশ্চিত করেছেন।
সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পশ্চিমবঙ্গের বাম দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের মন্তব্য ভিত্তিহীন। কারণ তাঁর দলের কর্মীরা প্রতিনিয়ত আমাদের কর্মীদের হত্যা করে এবং বারংবার তাদের ঘর পুড়িয়েও দিয়েছে। এখন সেই দল আমাদের দলের সঙ্গেই যোগ দিতে চান। তাহলে উনি দুরকম কথা বলছেন।"
অন্যদিকে, আরেক প্রাক্তন বাম ঘাঁটি ত্রিপুরায় মমতার তরফে কোনো আমন্ত্রণ যায় নি ১৯ জানুয়ারির সমাবেশে উপস্থিত থাকার। ত্রিপুরার রাজ্য সিপিএম নেতা নারায়ণ কর এমনটাই জানিয়েছেন।