Advertisment

'সহ-উপাচার্যের এই নিয়োগ মানব না', 'বিজেপি ম্যান' রাজ্যপালকে তোপ পার্থর

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বেনজির সংঘাত শুরু হল রাজ্য-রাজ্যপালের।জগদীপ ধনকড়কে 'বিজেপি ম্যান' বলে তোপও দাগেন পার্থ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
মোদীর কাছে বকেয়া চাইলেন মমতা

শিক্ষাঙ্গনে রাজ্যপালের সঙ্গে ফের বিরোধ রাজ্য সরকারের। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বেনজির সংঘাত শুরু হল রাজ্য-রাজ্যপালের। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা না করেই নিজের পছন্দমত লোক নিয়োগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে, এই অভিযোগ তুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশপাশি জগদীপ ধনকড়কে 'বিজেপি ম্যান' বলে তোপও দাগেন পার্থ।

Advertisment

রাজ্যপাল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য নিয়োগ করেছেন 'নিয়মবিরুদ্ধ' ভাবেই এবার এই মর্মেই ক্ষোভ ব্যক্ত করেন শিক্ষামন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এটা খুবই দুঃখজনক। ওনাকে আমরা আমাদের তৈরি একটি তালিকা পাঠাই। কিন্তু উনি নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগ করলেন। যার নাম ওই তালিকায় ছিলই না। যারা বিজেপির পরতি নিবেদিত প্রাণ তাঁদেরকেই উনি নিয়োগ করে আসছেন। এটা ঠিক নয়। আমরা এই নিয়োগ মানছি না।"

আরও পড়ুন, ‘দেশের এই রাজ্যে কোন দল সরকার চালাচ্ছে?’ অপরাধের রেকর্ড বৃদ্ধি দেখিয়ে শাহকে প্রশ্ন অভিষেকের

শিক্ষাদফতরের সূত্রের খবর অনুযায়ী প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সরকার সবসময় রাজ্যপালকে তিন জনের নামের একটি তালিকা পাঠায়। রাজ্যপাল সেই তালিকা থেকে একজনকে ওই পদে নিয়োগ করেন। এতদিন এই নিয়মেই চলে এসেছে এই নিয়োগ পর্ব। তবে এবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য পদে আচার্য জগদীপ ধনকড় নিয়োগ করেন প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রধান গৌতম চন্দ্রকে। যার নাম রাজ্যের পাঠানো তালিকায় ছিল না। এই নিয়েই শুরু হয় তরজা।

যদিও রাজ্যপালের যে নির্দেশ রয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, "বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৮১-এর অধীনে সেকশন ৯এ-এর সাব সেকশন (১) ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে আচার্য বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রধান প্রফেসর গৌতম চন্দ্রকে সহ-উপাচার্য পদে (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং অ্যাকাডেমিক) নিয়োগ করলেন আগামী চার বছরের জন্য।"

যদিও সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত বিরোধীদের সমালোচনার কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি রাজ্যপাল ধনকড়। রাজভবন সূত্রের খবর রাজ্যপাল তাঁর আইনানুসারেই কাজ করেছেন। যদিও রাজ্যপালের পক্ষ নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। তাঁদের মত তৃণমূল প্রথম থেকেই ক্ষুদ্ধ রাজ্যপালের উপর। কারণ তিনি তাঁদের 'ইয়েস ম্যান' হয়ে ওঠেননি।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc Governor
Advertisment