সোমবারই নারদা মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করেছে রাজ্যের তিনমন্ত্রীকে। নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে অ্যারেস্ট মেমো সই করানো হয় বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও নারদকাণ্ডে জামিন মঞ্জুর হল মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। নগর দায়রা আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করে।
গ্রেফতারের খবরে এদিন সকাল ১০টা ৪৭ মিনিট নাগাদ নিজাম প্যালেসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সিবিআই আধিকারিকদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন আগে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে, তা না হলে তিনি সিবিআই দফতর ছাড়বেন না।
আরও পড়ুন, সকালে গ্রেফতার, সন্ধ্যায় জামিন নারদ-কাণ্ডের ৪ নেতা-মন্ত্রীর
নিজাম প্যালেসের ভেতরে গ্রেফতার তৃণমূল নেতাদের আইনজীবীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলছেন বলে জানা গেছে। দল যে এই ঘটনায় পাশে রয়েছে, সেই বার্তা দিতে তিনি পৌঁছলেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় ৬ ঘণ্টা পর নিজাম প্যালেস ছাড়েন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা। ধৃতদের ১৪ দিনের হেফাজত চেয়েছে তাঁরা।
রাজ্যের মন্ত্রীদের গ্রেফতার নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বিক্ষভ দেখাতে শুরু করে। তৃণমূল কংগ্রেস এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং এটিকে "রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত" বলে অভিহিত করেছে। পশ্চিমবঙ্গ আইনসভার আইনজীবী ও স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায় বলেন, “একজন আইনজীবী হিসাবে আমি বলতে পারি যে এটি অবৈধ। একজন বিধায়ককে গ্রেফতারের আগে রাজ্য বিধানসভার স্পিকারের সম্মতি নেওয়া দরকার। সিবিআইয়ের কেবল রাজ্যপালের সম্মতি রয়েছে। ”
লোকসভার সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “এটি রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত। যে দল নির্বাচনে ভোট হারিয়েছিল তারা এখন বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের গ্রেফতারের জন্য সিবিআইকে ব্যবহার করছে।"
দিনকয়েক চার্জশিটে সম্মতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।জানা গিয়েছে রাজ্যপালের অনুমতি নেওয়ার পর নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়ে অ্যারেস্ট মেমোতে সই করানো হয়।
এদিকে, এই মামলায় মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীর নাম থাকলেও কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না তাঁদের তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। বিজেপি যোগের জন্যই কি ছাড় পেলেন তাঁরা, এমন তোপও দেগেছে তৃণমূল শিবির।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন