বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত ভোটে গণনা চলাকালীনও ছাপ্পা ভোট দেওয়ার ছবি সামনে এল। এবং এ ঘটনা ঘটল পোলিং অফিসারের সামনেই। নদিয়ার এ ঘটনা দেখে চমকে উঠেছেন রাজ্যের মানুষ তো বটেই, সারা দেশও। দুষ্কৃতীরা সকলেই তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত বলে অভিযোগ। এছাড়াও বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে পোলিং এজেন্টদের মারধোর করারও অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে।
এবারের পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পেশের সময় থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
এদিন মাজদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এলাকায় সুধীরচন্দ্র লাল মেমোরিয়াল কলেজের একটি কাউন্টিং সেন্টারে বিরোধী দল সমর্থিত একজন নির্দল প্রার্থী ১০২ ভোটে এগিয়ে থাকাকালীন কিছু দুষ্কৃতী আচমকাই ঢুকে পড়ে। এক প্রার্থীকে বাইরে বের করে দিয়ে কাউন্টিং এজেন্টদের সহযোগিতায় ছাপ্পা ভোট দেওয়া বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- West Bengal Panchayat Election Result 2018 Live: প্রত্যাশিতভাবেই বিপুল জয়ের পথে তৃণমূল কংগ্রেস
সূত্রের খবর, গণনাকেন্দ্রের বাইরে সেসময়ে আরও কয়েকজন দুষ্কৃতী বোমাবাজিও করে। এ প্রসঙ্গে নীলাদ্রি সুকুল নামের ওই নির্দল প্রার্থী বলেন, "আমি তখন তৃণমূলের চাইতে ২২০ ভোটে এগিয়ে। হঠাত তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী আমাকে টেনে বাইরে বের করে আনে। ধাক্কা মেরে বাইরে বের করার সময়ে আমি ওদের ছাপ্পা ভোট দিতে দেখি।"
খবর পৌঁছোনোর পর পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে দুষ্কৃতীদের এলাকাছাড়া করে। বিরোধী দলগুলি এই ঘটনাটির বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানোর পর ওই কেন্দ্রে ভোট গোনা স্থগিত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন- মৃত্যু হলেও পাওয়ারগ্রিড হতে দেব না, ভাঙড়ে জয়ের পর বললেন নির্দল প্রার্থী
এলাকায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে। কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের ওই কেন্দ্রে ১১২টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ২১টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ২টি জেলা পরিষদ আসনের ভোটগণনা চলছিল।