পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে এখনও উত্তপ্ত গোটা রাজ্য। ভোটের দিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন, মৃতের সংখ্যা ১৪ ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আরও ৩ টি দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের প্রাপ্ত খবর অনুসারে ২৩ বছর বয়স্ক এক যুবককে দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার কুলতলির থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশি তদন্তে জানা গেছে পঞ্চয়েত ভোটের দিন দুটি দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে ওই কিশোরকে মারধোর এবং পরে হত্যা করার অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবারের লোকজন। মৃত যুবকের নাম সুবিদ আলি বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন : পঞ্চায়েত ভোট: আজ ১৯ জেলার ৬০০-র কাছাকাছি বুথে পুনর্নির্বাচন, কাল গণনা
একই দিনে দক্ষিন ২৪ পরগনার জয়নগর এলাকার পোলিং বুথের নিকটবর্তী একটি মাঠ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় আরেকটি মৃতদেহ। নিহত ঐ ২৭ এর যুবকের নাম সাবির আলি শেখ বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে তৃনমুল কংগ্রেসের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে ওই এলাকা থেকে তাদের দলের দুই কর্মী এখনও নিঁখোজ।
স্থানীয় তৃনমুল নেতার দাবি মৃত ব্যক্তিরা তাঁদের দলের সমর্থক এবং সিপিএম কর্মীরা তাঁদের খুন করেছে। স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। স্থানীয় সিপিএম নেতার দাবী "আমাদের দল এরকম কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।"
আরও পড়ুন : বিজেপির উভয়সংকট: ভারত আপাতত কংগ্রেস-মুক্ত… এরপর কী?
সোমবার রাতে নদীয়া জেলার বারানবেড়িয়া গ্রামে কিছু অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী প্রণব বিশ্বাস নামক যুবককে হত্যা করে। সুত্রের খবর মুখোশধারী ঐ আততায়ীরা রাতের অন্ধকারে তাঁর বাড়িতে হঠাত হানা দেয়। নিহত যুবককে তাঁরা ছুরি দিয়ে অসংখ্যবার আঘাত করে হত্যা করবার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য প্রচুর বোমাবাজি ও করে। রানাঘাট সাবডিভিশনাল হাসপাতাল থেকে প্রণব বিশ্বাসকে এদিন মৃত বলে ঘোষনা করা হয়।
অভিযোগ তৃণমুল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই ঝামেলার মাধ্যমে গনতন্ত্রকে হত্যা করার এনেছে বিরোধী পক্ষ। তবে সেই অভিযোগকে সরাসরি অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবী মাওবাদীদের সঙ্গে জোট বেঁধে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা করছে এবং রাজ্যজূড়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী হাওড়া, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে।