Advertisment

'আমাকে ঘাঁটাবেন না, আমি কিষেনজিকে আউট করে দেওয়া লোক'

"আমি তো লক্ষ্মণ শেঠ, সুশান্ত ঘোষদের জব্দ করা লোক। আমি কিষেণজিকে আউট করে দেওয়া লোক, আমি অধীর চৌধুরীকে সাইনবোর্ড করে দেওয়া লোক। আমাকে বেশি ঘাঁটাবেন না।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই ময়না দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। এলাকা দখলের এই লড়াইকে ঘিরে বোমা-বন্দুক এখন রোজনামচায় পরিণত। অশান্তি চলছে রোজই। রবিবার রাতেও এলাকার তিন জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে বিজেপি-র মাস্কেট
বাহিনী বলে অভিযোগ। এই প্রেক্ষিতেই তাঁদের "সংযত" হতে বললেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। পরামর্শ দিলেন সবাইকে শান্তিতে মিলেমিশে থাকার। আর তা না হলে, অর্থাৎ অশান্তি জিইয়ে রাখার চেষ্টা করলে, ১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের পর নিজেই "মাঠে শান্তি ফেরাতে" নামবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি।

Advertisment

একইসঙ্গে দুষ্কৃতীদের "নিজের রূপ" চেনাতে বলেন, "যাঁরা অশান্তি করছেন তাঁদের বলে দিই, এগুলো বেশি করবেন না। আমি তো লক্ষ্মণ শেঠ, সুশান্ত ঘোষদের জব্দ করা লোক। আমি কিষেণজিকে আউট করে দেওয়া লোক, আমি অধীর চৌধুরীকে সাইনবোর্ড করে দেওয়া লোক। আমাকে বেশি ঘাঁটাবেন না। তার চেয়ে শান্তিতে সকলে মিলেমিশে থাকুন।"

আরও পড়ুন: মেদিনীপুরে বিজেপির রথের ‘ঘোড়া’ শিশির অধিকারীর হাতে?

১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে সোমবার বিকেলে ময়না পূর্ণানন্দ বিদ্যাপীঠের মাঠে আয়োজন করা হয় প্রচার সভার। রাজ্যের পরিবহন ও পরিবেশ মন্ত্রীর এই জনসভা রীতিমতো মিনি
ব্রিগেডে পরিণত হয়েছিল এদিন। সেই সভামঞ্চে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে মন্ত্রী একে একে তুলে ধরেন ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য। কেন্দ্র সরকারের জনবিরোধী নীতি এবং কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিয়ে শুভেন্দু ব্রিগেড সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান।

কিছুদিন আগে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ময়নাতে সভা করে বলেছিলেন, "আমি টিএমসির কবর খুড়তে এসছি। ছ’ফুট নিচে।" এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে দিলীপবাবুকে "অর্বাচীন" বলে তোপ দাগেন শুভেন্দু। দিলীপ ঘোষ অনেক কথার মধ্যে বলেছিলেন, "অধিকারি ব্রাদার্স অ্যান্ড সন্স, এই কোম্পানিকে আগামী নির্বাচনে তুলে দেব।"

এদিন মন্ত্রী তার জবাবে বলেন, "তুমি তো কোন ছার, তোমার চৌদ্দপুরুষ এলেও পারবে না। কারণ তোমার জন্মের আগে থেকে ১০০ বছরের অধিকারী পরিবারের ইতিহাস। আমার বাড়ির বিপিন অধিকারী ব্রিটিশের জেলে গিয়েছিলেন। আমার বাবার পিতৃদেব কেনারাম অধিকারী বাসুদেবপুর ইউনিয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। আমরা ৭০ সাল থেকে ভোট লড়ি, ভোটে জিতি। তোমার (দিলীপ ঘোষ) তখন জন্ম হয়নি, মুখে লালা পড়ছিল। তখন থেকেই আমরা এমপি, এমএলএ হই।"

west bengal transport minister
Advertisment