পুরভোট নিয়ে উত্তপ্ত বাংলা। তার মধ্যেই রাজ্যবাসীর কাছে আশার খবর, করোনা সংক্রমণ কমছে। স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন মাত্র ৮১৭ জন। তাই বলে স্যাম্পেল পরীক্ষা নেহাত কম হয়নি। রাজ্যে স্যাম্পেল পরীক্ষা হয়েছে ৪৫,৪৯৫ জনের। বৃহস্পতিবার রাজ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১,৩৮১ জন। মারা গিয়েছেন ২৬ জন। মৃত্যুর হার ১.০৪ শতাংশ।
আর, চিন্তার কথা বলতে এটাই। বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৩০-এর নীচে নামছিল না। তা-ও যেটুকু নামল, ২৮ থেকে ২৬। মানে, ৩০ থেকে খুব বেশি দূরে না। আর, তাই কমছে না মৃত্যুর হারও। সেই ১.০৪ শতাংশে আটকে আছে। এই তো মঙ্গলবারই রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩২। মানে ৩০-এর ওপরে। এই বিষয়টাই চিন্তায় রাখছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে।
তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাঁরা করোনার দুটো ডোজ নেননি, তাঁদের মৃত্যু হচ্ছে। যাঁরা দুটো ডোজই নিয়েছেন, মৃতের তালিকায় তাঁরা নেই। তবে, এখনও রাজ্যে অনেকেই করোনার দুটো ডোজ নেননি বা পাননি। বিশেষ করে, পড়ুয়াদের অনেকেরই এখনও দুটো ডোজ হয়নি। শুধু তাই না। করোনার বুস্টার ডোজ নেওয়ার সময় হয়ে গেলেও অনেকেই এখনও বুস্টার ডোজ পাননি। এনিয়েও আশঙ্কায় রয়েছেন বহু প্রবীণ ব্যক্তিত্ব।
কারণ, বুস্টার ডোজেরও সময়সীমা থাকে। সময়মতো সেই ডোজ না-পেলে করোনার দ্বিতীয় ডোজ কতটা সংক্রমণ রুখতে পারবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অনেকেরই। এর মধ্যেই আবার রাজ্যে পুরভোট চলে আসায় শিথিলতা বেড়েছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন মহলের। যদিও প্রশাসনের দাবি, করোনাবিধি মেনেই ভোটপ্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া সরস্বতী পুজোয় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে করোনাবিধি ভাঙার অভিযোগ যেমন উঠেছিল। তেমনই, ভোটপ্রক্রিয়াতেও আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি এবং করোনাবিধি ভাঙার অভিযোগ বারবার তুলছেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন- করোনা সংক্রমণ কমলেও এখনই আনন্দের কারণ নেই, বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক
এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা সত্যি করে ফের রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকেই। বিশেষ করে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রকও ফের সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথাই জানিয়েছে। সেকথা মাথায় রেখে হার্ড ইমিউনিটি বাড়লেও, করোনাবিধি মান্য করার ওপরই জোর দিতে চায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরও।