দল ও শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে মধ্যস্থতার দায়িত্বে ছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। রফা বৈঠকের পরদিন মেসেজ বার্তায় তাঁকেই শুভেন্দু বলেছিলেন যে 'এইভাবে চললে দলে থেকে আর এক সঙ্গে রাজনীতি করা যায় না।' তারপরই বিধায়ক পদে ইস্তফার দিনে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সৌগতবাবু। বলেছিলেন, 'বিজেপির সঙ্গে ওর কী ডিল হয়েছে কে জানে। তবে আগে থেকেই ও বিজেপিতে যাওয়ার মনস্থির করে রেখেছিলো।'
বছরের প্রথম দিনেই অধিকারী গড় কাঁথিতে দাঁড়িতে সৌগতবাবুর সেই কৌতুহলের জবাব দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। স্পষ্ট জানালেন কোন শর্তে তাঁর সহ্গে বিজেপির ডিল হয়েছে।
ডিলের শর্ত...
এ দিন শুভেন্দুর অধিকারীর ভাই তথা কাঁথির প্রাক্তন তৃণমূল পুর প্রশাসক বিজেপিতে যোগ দেন। সেখানেই প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন শুভেন্দু। 'পিসি-ভাইপো'র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। এর ফাঁকেই তৃণমূল সাংসদ অধ্যাপক সৌগত রায়কে 'ভাইপোর জ্যাঠা' বলে কটাক্ষ করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী।
কোন শর্তে তিনি বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন তা বলতে গিয়ে শুভেন্দু জানান, 'প্রথি বছর টেট, স্কুল সার্ভিস, ভদ্রস্থ বেতনের সরকারি চাকরি, ঢপের চপের স্বাস্থ্যসাথীর বদলে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প, বাংলার প্রায় ৭৩ হাজার চাষিদের বছরে ৬ হাজার টাকার বাস্তবায়ণ এবং বাংলায় সুশাসনের লক্ষ্যেই আমি বিজেপিতে এসেছি। এটাই ডিল।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন