কথা রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। জানিয়ে দিলেন কে 'ম্যাডাম নারুলা'।
কয়লাপাচারকাণ্ডে তমলুকের সভায় (২৫ জানুয়ারি) সরাসরি যুব তৃণমূল সভাপতিকে নিশানা করেন শিশির-পুত্র। সভামঞ্চে প্রকাশ্যে থাইল্যান্ডের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে খতিয়ান দিয়ে তিনি দাবি করেছিলেন, সেখানে প্রত্যেক মাসে লালার (কয়লা পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত) ৩৬ লক্ষ টাকা ঢুকেছে। এরপরই বোমা ফাটিয়ে শুভেন্দুর দাবি করেছিলেন, সেই অ্যাকাউন্ট ‘ম্যাডাম নারুলার’ নামে রয়েছে। কে ‘ম্যাডাম নারুলা’? সেটাও খুব শিগগির জানাবেন বলে ঘোষণা করেন শুভেন্দু। সেই জাবাব এদিন বারুইপুরের সভায় দিলেন এই বিজেপি নেতা।
বিজেপির যোগদান মেলায় মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'গত লোকসভা নির্বাচনের আগে কলকাতা এয়ারপোর্টে সোনা নিয়ে ধরা পড়েছিলেন যিনি তিনিই ম্যাডাম নারুলা। বুঝে নিলেন। সমজদারো কে লিয়ে ইশারাই কাফি হ্যায়।'
উল্লেখ্য, যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর কলকাতার বিমানবন্দরে অবৈধ সোনা নিয়ে ধরা পড়েছিলেন বলে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। যা নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। এদিন শুভেন্দুর মন্তব্য কী সেই ঘটনাকেই ইঙ্গিত করছে?
তৃণমূল ত্যাগের পর নারদকাণ্ড নিয়ে শুভেন্দুকে 'ঘুষখোর' বলে আক্রমণ শানান অভিষেক। জবাবে, ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে 'তোলাবাজ' কটাক্ষ ছুড়ে দেন বিজেপি নেতা। থাইল্যান্ডের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে খতিয়ান দিয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু পাল্টা বলেছিলেন, সেখানে প্রত্যেক মাসে কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত লালার ৩৬ লক্ষ টাকা করে ঢুকেছে। মঙ্গলবার বারুইপুরের সভায় রীতিমত ব্যাঙ্কের কাগজ দেখিয়ে সেই প্রমাণ সর্বসমক্ষে তুলে ধরার দাবি করেন শুভেন্দু। প্রশ্ন করেন, 'এরপরও বলতে হবে তোলাবাজ ভাইপো কে?'
রাজ্য-রাজনীতির পারদ চড়ছে। মাঘের শীতে 'ম্যাডাম নারুলা' তাতে নতুন মাত্রা যোগ করলেন।
আরও পড়ুন- ‘এতগুলো আসন জিতে বিজেপি কী করেছে?’ জবাব দিলেন মমতা!
দ্ম
এদিকে এদিন বারুইপুরে যোগদান মেলায় বিজেপিতে যোগ দেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার। সোমবারই স্পিড পোস্টে চিঠি দিয়ে দল ছেড়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ দিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে দীপক হালদারের দূরত্ব বেড়েছিল। দলীয় কোনও কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা যেত না। দল তাঁকে আমন্ত্রণ করত না বলে বারংবার দাবি করেন তিনি। তারপরই বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল বিধায়ক পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নিলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন