অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি) উত্তর প্রদেশ সরকারের রাজ্যের অস্বীকৃত মাদ্রাসাগুলো চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলল। এই সিদ্ধান্তকে বিজেপিশাসিত রাজ্যের প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য বলেও অভিযোগ করেছে এআইএমপিএলবি।
এই ব্যাপারে এআইএমপিএলবির কার্যনির্বাহী সদস্য কাসিম রসুল ইলিয়াসের অভিযোগ, 'দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোয় মাদ্রাসাকে নিশানা করা হচ্ছে। তা সে উত্তরপ্রদেশই হোক অথবা আসাম। সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানগুলো আইনের অধীনে সুরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও অসম সরকার কিছু ছোট মাদ্রাসাকে সাধারণ স্কুলে পরিণত করেছে।'
ইলিয়াসের প্রশ্ন, 'যদি ইস্যুটি ধর্মীয় শিক্ষাকে সীমাবদ্ধ করার হয়। ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষার প্রচার হয়, তবে সরকার কেন গুরুকুলের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নিচ্ছে না? তাদের অবাধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে?' তার মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার মাদ্রাসাগুলোর একটি সমীক্ষা করার কথা ঘোষণা করেছে। তার শিক্ষকের সংখ্যা, পাঠ্যক্রম এবং উপলব্ধ সুবিধাগুলো সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার কথা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘শিক্ষক রত্ন’ সম্মান পাচ্ছেন পূর্ব বর্ধমানের এক হাইমাদ্রাসা ও এক প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক
ইলিয়াস জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে মোট মাদ্রাসার সংখ্যার তেমন কোনও অনুমান এআইএমপিএলবির কাছে নেই। তবে সাচার কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে যে সেখানে প্রায় ৪% মুসলিম শিশু লেখাপড়া করে। সংখ্যাটা কয়েক হাজার হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। এআইএমপিএলবির মতে, সাচার কমিটির এই ধারণা ঠিক না। ২০০৬ সালে সাচার কমিটি তার রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরে সংখ্যাটা কয়েকগুণ বেড়েছে।
ইসলামি শিক্ষার কাঠামো তুলে ধরে ইলিয়াস জানান, এটি মূলত তিন ধরনের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সম্ভব- মক্তব। যা প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা মসজিদের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় ক্লাস। ছোট মাদ্রাসা বা হিফজ। যেখানে ৮-১০ বছর বয়স পর্যন্ত ছোট ছাত্রদের কুরআন মুখস্ত করা শেখানো হয়। আর, আলিমিয়াত বা বড় মাদ্রাসা। যেখানে ছাত্রদের ইসলামিক মতাদর্শ, কুরআনের ব্যাখ্যার পাশাপাশি নবি মহম্মদের বাণী এবং অন্যান্য ধর্মতাত্ত্বিক বিষয় শেখানো হয়। আলিমিয়াতের স্তরে অনেক মাদ্রাসা মাদ্রাসা বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত। তারা রাজ্য সরকারের থেকে আংশিক তহবিল এবং অনুদান পায়।
Read full story in English