মহারাষ্ট্রে মহা-বিদ্রোহে বুধবার আরও নাটকীয় মোড়। মোদীর রাজ্য গুজরাট থেকে এবার অসমের গুয়াহাটি পৌঁছলেন উদ্ধবের মন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে-সহ বিদ্রোহী বিধায়করা। গুয়াহাটিতে পৌঁছতেই শিণ্ডের নতুন দাবি, শিবসৈনিকরা কেউ-ই বিদ্রোহ করেননি। অন্য দলেও যোগ দেননি। তাই এখনই সরকার পড়ার জল্পনা খণ্ডন করেছেন প্রবীণ শিবসেনা নেতা। তবে তাঁর দাবির পরই তড়িঘড়ি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন উদ্ধব ঠাকরে। বেলা একটায় বসছে মন্ত্রিসভার বৈঠক।
এদিন শিণ্ডে বলেছেন, "আমি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিই-নি। আমরা কখনও হিন্দুত্ব, বালাসাহেব ঠাকরের আদর্শ এবং আনন্দ দিঘের শিক্ষাকে আমাদের রাজনৈতিক লাভের জন্য ঢাল করব না।" প্রসঙ্গত, গুজরাট থেকে অসমে আসার পর এই প্রথম সশরীরে জনসমক্ষে এলেন শিণ্ডে। তাঁর সঙ্গে শাসকজোটের ৪০ জন বিধায়ক রয়েছেন বলে দাবি শিণ্ডের।
তিনি এদিন আরও বলেছেন, আরও ১০ জন বিধায়ক তাঁর কাছে গুয়াহাটিতে আসবেন। তাতেই ঘুম উড়েছে মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের। সূত্রের খবর, শুধু শিবসেনা নয়, কংগ্রেসেরও কয়েকজন বিদ্রোহী বিধায়ক শিণ্ডের দলে রয়েছেন। আরও ১০ বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগ দেবেন এই দাবির পরই মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক ডামাডোল আরও বড় আকার নিয়েছে।
আরও পড়ুন শিন্ডের দেখা পেলেন উদ্ধবের দূত, কিন্তু সঙ্কট এখনও সেই তিমিরেই
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে শাসকজোটের নেতৃত্বে থাকা শিবসেনার রয়েছে ৫৫ জন বিধায়ক, এনসিপির ৫৩ জন এবং কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়ক। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য চাই ১৪৪ জন বিধায়ক।
এ দিকে শিণ্ডে ও তাঁর অনুগামী দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলতে মঙ্গলবার দুপুরেই সুরাটে চলে যান উদ্ধব ঠাকরের প্রতিনিধি মিলিন্দ নার্ভেকর। প্রথমে মিনিট ২০ শিণ্ডেদের নাগাল পাননি তিনি। পরে তাঁদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি মেলে তাঁর। এদিকে লা মেরিডিয়ান হোটেলেই দেখা গিয়েছে বিজেপি বিধায়ক সঞ্জয় কুটেকেও। সূত্রের খবর, শিণ্ডেদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।