জেলায় বিজেপিকে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করা থেকে আটকাতে মালদার কংগ্রেস নেতৃত্ব সমর্থনের হাত বাড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। স্থানীয় কংগ্রেস এমপি মৌসম নূর জেলার পার্টি কর্মীদের জন্য হুইপ জারি করে বলেন, পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করার জন্য যেখানে তৃণমূল ও সিপিএম সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না, সেখানে তারা তাদের সমর্থন সিপিএম ও টিএমসিকে দেবে। বর্তমানে প্রায় ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে মালদা জেলায়।
নূর বলেন, ''আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিএমসি ও সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করব। গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে ও অচলাবস্থা কাটাতে এই পদক্ষেপ নিয়েছি। যেখানে আমাদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে সেখানে আমরা নিজেরাই বোর্ড গঠন করব। আর যেখানে যেখানে সিপিএম ও টিএমসির আমাদের সমর্থন প্রয়োজন সেখানে আমরা সহযোগিতা করব। আমাদের লক্ষ্যটা পরিষ্কার, ২০১৯ এ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি শক্তি বৃদ্ধি হওয়া থেকে আটকানো। পার্টির উঁচু স্তরের নেতাদের নির্দেশের পর আমরা সে দিকেই এগোচ্ছি।"
আরও পড়ুন, শীর্ষ আদালতের রায়ের পর কী হবে ভাঙড়ের জমি কমিটির পাঁচ পঞ্চায়েত সদস্যের?
মালদা কংগ্রেস নেতা ও এমপি আবু হাসেম খান চৌধুরিও সই করেছেন মালদা জেলা কংগ্রেস কমিটির লেটারহেডের আওতায় নূরের জারি করা হুইপে। টিএমসি এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে, তবে রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তাঁরা এবিষয়ে কোনও নির্দেশ পাননি।
তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। এটা তাঁদের আরও আগে করা দরকার ছিল। তবে যাই হোক, বিজেপিকে রুখতে বিভিন্ন জায়গায় এরকম পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী।" কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ''আমাদের এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি। তাঁরা পার্টি হাই কমান্ড জানানোর আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।"
আরও পড়ুন, ভারতকে না বুঝলে ‘সঙ্ঘ’কে বোঝাও অসম্ভব: রাহুলকে কটাক্ষ আরএসএস-এর
তবে বিজেপি রাজ্য সচিব রাহুল সিনহা বলেন, ''এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে মালদায় নিজেদের এমপি সিট হাতছাড়া করতে চায়না কংগ্রেস। আর সেকারণেই তারা যে কোনও মূল্যে গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে চাইছে। ছবিটা পরিষ্কার, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উত্থানে ভয় পাচ্ছে তারা।"