দু বছর আগে ইংল্যান্ডকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার অন্যতম নেপথ্য নায়ক তিনি। সেই লিয়াম প্লাঙ্কেটই এবার ইংল্যান্ড ছেড়ে পাড়ি দিচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। খেলবেন ইউএস-এর মেজর লিগ ক্রিকেটে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নেওয়ার জন্য অবশ্য তিন বছর রেসিডেন্সি পিরিয়ডে থাকতে হবে তাঁকে।
৩৬ বছরের সিমার সারে ক্লাবের ওয়েবসাইটে জানিয়েছেন, "কেরিয়ারের পরবর্তী পর্যায়ে মেজর লিগ ক্রিকেটে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটের সম্প্রসারণই আমার পাখির চোখ।"
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত আগ্রাসনই পতনের কারণ! কোহলিকে নিয়ে বেনজির বিস্ফোরণ এবার পাঠানের
এর সঙ্গে প্লাঙ্কেটের আরও সংযোজন, "ইংল্যান্ডের হয়ে দুরন্ত এক কেরিয়ার পুরোমাত্রায় উপভোগ করেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের পরে আমেরিকায় কোচ এবং ক্রিকেটার হিসাবে খেলার জনপ্রিয়তা বাড়ানোয় অংশ নিতে চাই।"
ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে ৮৯টি ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে শেষ ম্যাচ ছিল ২০১৯-র ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনাল। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের নেতা কেন উইলিয়ামসন সহ মোট তিনটে শিকার করেন তিনি। ২০০৫-এ ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্টে অভিষেক ঘটে প্লাঙ্কেটের। তবে অভিষেক ঘটানোর পরে জাতীয় দলের হয়ে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ জোটেনি তাঁর। তারপরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দেশের অন্যতম সেরা সিমার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০১৯-এ সেই কারণেই জাতীয় দলে ডেকে নেওয়া হয় তারকাকে।
লিয়াম প্লাঙ্কেট বিশ্বকাপে সাতটি ম্যাচেই খেলেছিলেন। প্রত্যেক ম্যাচেই ইংল্যান্ড জিতেছিল। গোটা টুর্নামেন্টে প্লাঙ্কেটের ইকোনমি বেশ আকর্ষনীয় (ওভার পিছু মাত্র ৪.৮৫)। ২৪.১১ গড়ে টুর্নামেন্টে মোট উইকেট নিয়েছেন ১১টি।
আরও পড়ুন: ওভাল টেস্টে একাধিক পরিবর্তন দলে! খোলনলচে বদলাচ্ছে কোহলিদের ব্যাটিং থেকে বোলিং
তবে বয়স অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল প্লাঙ্কেটের। সেই সঙ্গে ডেভিড উইলি, ক্রিস জর্ডন, কুরান ভাইয়েদের আগমনে জাতীয় দলে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। সেই কারণেই ইসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা পাননি তিনি।
মার্কিন মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন কয়েক বছর আগে। গত বছরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলার ভাবনা চিন্তা রয়েছে তাঁর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন