৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে বিশ্বজয় করেছে আর্জেন্টিনা। লা আলবিসেলেস্তেরা এখন বিশ্বজয়ের আনন্দে ভাসছেন। সে দেশের লক্ষ লক্ষ জনতা তাঁদের রাজধানী বুয়েনস আইরেসের বিখ্যাত ওবেলিস্কের সামনে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছেন রবিবার রাত থেকে। সবাই অপেক্ষারত, মেসিদের কাপ হাতে দেখবেন এক দর্শন, উচ্ছ্বাসে ভাসবেন। হাজার সমস্যা, দেশে মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, দারিদ্র সব দুঃখ ঘুচিয়ে দিয়েছে সোনার পরী জয়ের আনন্দ।
অবশেষে ভোররাতে দেশে পৌঁছলেন মেসি, ডি মারিয়ারা। আর সোজা কাপ নিয়ে সেই ওবেলিস্কের সামনে উদ্বেলিত জনতার মাঝে পৌঁছবেন তাঁরা। অনুরাগীদের সম্মান জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশন। আর এখানেই বেঁধেছে গোল। সরকার পরামর্শ দিয়েছিল, আর্জেন্টিনা টিম সোজা আসবেন কাসা রোসাদায় প্রেসিডেন্টের অফিসে। সেখানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিশ্বকাপ নিয়ে ক্যামেরার সামনে পোজ দেবেন মেসিরা। তাতে তীব্র বিক্ষোভের মাঝেও সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়।
কিন্তু সে গুড়ে বালি দিয়েছে মেসিদের ফেডারেশন। জনতাই জনার্দন, তাই তাঁদের সঙ্গে সেলিব্রেশন করবেন তাঁরা। শুধু এখানেই শেষ নয়, মেসিদের দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য আজ, মঙ্গলবার সরকার একদিনের জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেছে। মেসিদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য কেন একদিনের জাতীয় ছুটি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আর্জেন্টিনার বিরোধী দলগুলি। এতে কী উদাহরণ স্থাপন হবে, প্রশ্নে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন পায়ে লাল সুতো বেঁধেই বিশ্বকাপে ‘গ্রহের দোষ’ কাটল মেসির! চ্যাম্পিয়ন হতেই ফাঁস আসল ঘটনা
ইতিমধ্যেই মেসির স্ত্রী অ্য়ান্তোনেলা বুয়েনস আইরেসে পৌঁছে যান। রোমে স্টপওভার দিয়ে আর্জেন্টিনায় পৌঁছেছেন মেসি-স্কালোনিরা। সিটি সেন্টার ওবেলিস্কের সামনেই সবাই জড়ো হয়ে আনন্দ করবেন বলে। সেখানে 'মুচাচোস' ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস কাঁপবে রাজধানীর।