জন্মদিনেই হ্যাটট্রিক। এমনই বিরল কীর্তি গড়লেন ভারতীয় বোলার। অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নয়। বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনালে কর্ণাটকের অভিমন্যু মিঠুন তামিলনাড়ুর ইনিংসের শেষ তিন বলে পরপর তিনজনকে ফিরিয়ে দিয়ে হ্যাটট্রিক করেন। সেখানেই থেমে যায় তামিলনাড়ুর ইনিংস। ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে নিজের বোলিং স্পেল শেষ করেন তিনি।
বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনালে খেলা ছিল কর্ণাটক বনাম তামিলনাড়ুর। সেখানে মিঠুনের দাপুটে বোলিংয়ে তামিলনাড়ু ২৫২ রানে অলআউট হয়ে যায়। মিঠুনের বোলিং স্পেল দাঁড়ায় ৯.৫-০-৩৪-৫। বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনালে অভিমন্যু মিঠুনই প্রথম যিনি প্রথম কর্ণাটকী বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। বিশ্ব ক্রিকেটে এতদিন জন্মদিনে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব একমাত্র অধিকারী ছিল অস্ট্রেলিয়ার পিটার সিডলের।
২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে প্রথম টেস্টেই এই কীর্তি গড়েছিলেন সিডল। সেই কীর্তিই এবার ছুঁয়ে ফেললেন মিঠুন। ৩০ বছরের ফাস্ট বোলার ইনিংসের শেষ ওভারে আউট করেন শাহরুখ খানকে। যিনি সেই সময় ২৭ রানে ব্যাটিং করছিলেন। তারপরের বলেই এম মহম্মদ বাউন্ডারির ধারে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন। তৃতীয় বলে এম মুরুগান বলের লাইন বুঝতে না পেরে সোজা আকাশে বল তুলে দেন। কভারে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার ক্যাচ তালুবন্দি করে মুরুগানকে ফেরত পাঠান। এতেই মিঠুন সম্পন্ন করেন বিরল কৃতিত্ব।
যাইহোক, তামিলনাড়ু আড়াইশোর গণ্ডি পেরোয় ওপেনার অভিনব মুকুন্দের ৮৫ রানে ভর করে। বাবা অপরাজিত ৬৬ করেন। বাকিদের মধ্যে কেবল রান পেয়েছেন বিজয়শঙ্কর (৩৮)। ২৫২ রানের জবাবেব ব্যাট করতে নেমে কর্ণাটক ১৬ ওভার শেষে ১০৪ রান তুলেছে। লোকেশ রাহুল ৩৩ এবং মায়াঙ্ক আগারওয়াল ৩৮ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন। আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন দেবদূত পাড্ডিকাল (১১)।
Read the full article in ENGLISH