East Bengal Eliminated from AFC Challenge League, Defeated Again in Return Leg: ইস্টবেঙ্গলের পরাজয়ের ধারা অব্যাহত। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের ফিরতি ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের দল আর্কাদাগের কাছে তারা ২-১ গোলে হারল। যার ফলে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ থেকে বিদায় নিতে হল লাল-হলুদ বাহিনীকে। লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের এই ফিরতি ম্যাচে জিতে সেমিফাইনালে যেতে হলে আর্কাদাগকে অন্তত ২-০ গোলে হারাতে হত ইস্টবেঙ্গলকে। কারণ, যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গলের ঘরের মাঠে এসে আর্কাদাগ ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারিয়ে গিয়েছিল। সেই হিসেবে হোম আর অ্যাওয়ে মিলিয়ে আর্কাদাগের কাছে ৩ গোল খেল ইস্টবেঙ্গল।
ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁ ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন যে তাঁরা তৈরি। আগে সব খেলোয়াড়কে চোটের জন্য না পাওয়ায় তাঁরা ভালো খেলতে পারেননি। এবার আর সেটা হবে না। কিন্তু, তাঁরা যে ঠিক কতটা তৈরি, তা বুধবারের ফলাফলেই স্পষ্ট হয়ে গেল। তবে, এই ম্যাচ বেশ আগ্রাসী মেজাজেই শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল করে ফেলেন মেসি বৌলি। ফ্রি কিক থেকে বক্সের সামনে বল পেয়ে হেডে দেন দিমিত্রি দিয়ামান্তাকোসকে। দিমিত্রি সেটা গোলে না ঠেলে দেন মেসিকে। যা লাল-হলুদ স্ট্রাইকার জালে পাঠান।
এরপর দীর্ঘক্ষণ গোল হওয়া ঠেকিয়ে রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু, ম্যাচের ৩৩ মিনিটের মাথায় লালচুংনুঙ্গা হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তেই অস্কার ব্রুজোঁর ছেলেরা যেন দিশাহারা হয়ে যান। ম্যাচের বাকি সময়টা ১০ জনে খেলা ইস্টবেঙ্গল তারপরও দীর্ঘক্ষণ গোল হওয়া ঠেকিয়ে রেখেছিল। তবে, শেষের দিকে ব্রুজোঁর ছেলেরা হার মানে। সেটা একেবারে ম্যাচের শেষের দিকেই। ৮৭ মিনিটের মাথায় আর্কাদাগকে সমতায় ফেরান আন্নাদুর্দিয়েভ। এরপর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের ৬ মিনিটের মাথায় ফের গোল করে আর্কাদাগ। এবার গোল করে যান হাইডিরো।
আরও পড়ুন- আর্কাদাগের বিরুদ্ধে নামার আগে, পাশে থাকতে আহ্বান ব্রুজোর
এর আগে যুবভারতীর ম্যাচে আর্কাদাগের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছিলেন গুরবানোভ। বুধবারের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল বেশি ব্যবধানে জিততে পারলে তাদের সেমিফাইনালে ওঠার সুযোগ ছিল। সেখানে কুয়েতের আল-আরবি বা ওমানের আল-সাইব দলের মুখোমুখি হতে হত ইস্টবেঙ্গলকে। তুর্কমেনিস্তানে পৌঁছেই ইস্টবেঙ্গল আর্কাদাগের বিরুদ্ধে নিম্নমানের ব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেছিল। তবে, শাহরুখ খানের ভক্ত সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙে তৈরি এই দেশের অনেকেই। সেই শাহরুখের নাম ভাঙিয়ে লাল-হলুদ দল প্রাপ্য ব্যবস্থাপনার কিছুটা আদায় করেছিল। কিন্তু, সেটাও যথেষ্ট ছিল না বলেই অভিযোগ করেছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।