২৪ ঘণ্টা আগেই পাকিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যান ইমাম উল হকের কুকীর্তি ফাঁস হয়ে গিয়েছে। ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। এবার 'ধরা পড়লেন' অন্য এক পাকিস্তানি তারকা। শাহিন আফ্রিদি। যাঁর কেচ্ছা ঘিরে আপাতত সরগরম নেট দুনিয়া।
বিশ্বকাপের দুর্ধর্ষ বোলিং করে নজর কেড়ে নিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি। জাতীয় দলের জার্সিতে পাঁচ ম্যাচ খেলেছিলেন। স্বল্প সুযোগেই ১৬ উইকেট দখল করে নিয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩৫ রানে ৬ উইকেট গোটা টুর্নামেন্টেই সেরা বোলিং প্রদর্শনের নজির হয়ে রয়েছে। মহম্মদ আমের একদিন আগেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। আফ্রিদির মতো তারকাদের কথা ভেবেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। আমিরের অভাপব অনেকটাই ঢেকে দিতে পারবেন তিনি, এমনটাই মনে করছেন পাক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। তার আগেই বেকায়দায় পড়লেন বাঁ হাতি পেসার।
আরও পড়ুন মহিলাদের সঙ্গে চ্য়াটে উষ্ণতা বিনিমিয়, প্রকাশ্য়ে এল স্ক্রিনশট, বিতর্কে পাক ওপেনার
যাইহোক, ইনজামাম-উল হকের ভাইপো তারকা ক্রিকেটার ইমাম উল হকের প্রকাশ্যে কুকীর্তি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরেই একজন টুইটার ব্যবহারকারী সরাসরি শাহিন আফ্রিদির নাম জানিয়ে দেন। প্রাইভেট ভিডিও চ্যাটে র অংশবিশেষের স্ক্রিনশট শেয়ার করে সেই মহিলা লেখেন, মাঠে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন ক্রিকেটাররা, কারণ ক্রিকেটেই ফোকাস ছিল না তাঁদের। পাশাপাশি বিস্ফোরক অভিযোগে তিনি জানান, এই ক্রিকেটাররা মহিলাদের দুর্বলতার সুযোগ নিতে ছাড়েন না!
শাহিন আফ্রিদি-র ফাঁস হওয়া সেই ভিডিও ক্লিপিংয়ের স্ক্রিন শট (টুইটার)
পাকিস্তানের সেই সোশ্য়াল মিডিয়া ব্যবহারকারীর আইডি ফেরিহা। টুইটে তাঁর বক্তব্য ছিল, "শাহিন আফ্রিদি হল পরের বড় মাছ। ওরা কেন সবসময় মাঠে ব্যর্থ হয় জানেন? ওরা ওদের ক্ষমতা ও স্টেটাস প্রদর্শন করে মহিলাদের প্রলোভিত করে এবং তারপরে তাঁদের শরীর নিয়ে খেলা করে। আরও জিনিস প্রকাশ্যে আনব।" এই টুইটের সঙ্গেই শাহিনের একটি প্রাইভেট চ্যাটের ক্লিপিংস শেয়ার করেন তিনি।
ঘটনাচক্রে, যে আইডি থেকে শাহিন আফ্রিদি-র অশ্লীল ভিডিও শেয়ার করা হয়েছিল, সেই অ্যাকাউন্টটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঠিক ইমাম-উল হককে প্রকাশ্যে আনা টুইটার অ্যাকাউন্টের মতোই। যদিও তার মধ্যেই টুইটের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে যায় টুইটারে।
কিছুদিন আগেই আবদুর রজ্জাক টিভি শোয়ে স্বীকার করে নিয়েছিলেন, বিবাহ-বহির্ভূত একাধিক সম্পর্ক ছিল তাঁর। তারপরেই ইমাম উল হক এবং শাহিন আফ্রিদি-র নাম উঠে আসে অক্রিকেটীয় কারণে। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে পাক বোর্ড। অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে পিসিবি কোনও ব্যবস্থা নেয় কিনা, সেটাই দেখার।