আইপিএল ইলেভেনের কোয়ালিফায়ার টু একাই মাত করে দিয়েছিলেন রশিদ খান। ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ব্যাটে কামাল দেখিয়ে বল হাতেও জ্বলে উঠেছিলেন আফগানিস্তানের বছর উনিশের স্পিনার। তাঁর সৌজন্যেই ফাইনালের টিকিট কাটতে পেরেছিল সানরাইজার্স। শুধু কোয়ালিফায়ারই নয়, গোটা টুর্নামেন্টেই হায়দরবাদের জার্সিতে কামাল দেখিয়েছেন রশিদ। টুর্নামেন্টে ২১টি উইকেটও নিয়েছেন তিনি।
কলকাতা ম্যাচের পর রশিদ ঘণ্টা দুয়েক কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়ার জায়গায় ছিলেন না। কারণ ইডেনে তারঁ পারফরম্যান্স দেখে ট্যুইট করেছিলেন স্বয়ং শচীন তেণ্ডুলকর। যা দেখে রীতিমতো চমকে যান রশিদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, “আমি বাসে ওঠার পর মোবাইল অন করে দেখি একটা বন্ধু আমাকে শচীনের ট্যুইটের স্ক্রিনশট পাঠিয়েছে। আমি ১-২ ঘণ্টা বুঝেই উঠতে পারিনি কী উত্তর দেব। যদিও পরে উত্তর দিই।" শচিন সেদিন ট্যুইটে লিখেছিলেন, রশিদই এই মুহূর্তে সেরা টি-২০ বোলার। রশিদ আরও বলেন, "গোটা আফগানিস্তান ওই ট্যুইট দেখেছে। আমাদের ওখানে শচীন অসম্ভব জনপ্রিয়। তিনি এভাবে আমার প্রশংসা করবেন সেটা কেউ ভাবতে পারেনি। এরকম কথা শুনলে তরুণ ক্রিকেটাররা অনুপ্রাণিত হয়।"
আরও পড়ুন: ICC World XI: পাণ্ডিয়ার পরিবর্তে শামি, ক্যাপ্টেনসির ব্যাটন আফ্রিদির হাতে
রশিদ জানিয়েছেন আইপিএলে মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলি ও এবি ডিভিলিয়ার্সের উইকেট নিয়েই তিনি সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন। রশিদের মতে এই তিনজনের উইকেটই এখনও পর্যন্ত তাঁর কেরিয়ারে সেরা, কারণ তিনজনেই স্পিন দারুণ খেলেন।
টি-২০ ক্রিকেটে উপভোগ করেই ভাল পারফরম করতে চান তিনি। এমনটাই বলছেন রশিদ। অন্যদিকে, আগামী মাসে ভারতের মাটিতে আফগানিস্তানের টেস্ট অভিষেক হবে। ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রোমাঞ্চিত রশিদ। দেশের স্বপ্নপূরণের ম্যাচ হিসেবেই দেখছেন তিনি। বলছেন, “এই টেস্টে আমরা যারা নির্বাচিত হয়েছি তারা অত্যন্ত ভাগ্যবান। ভারতের বিরুদ্ধে আমরা ইতিহাস লিখছি। এর চেয়ে বড় আর কী হতে পারে!”
এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে অত্যন্ত জনপ্রিয় রশিদ। তাঁর মতে, সেদেশের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘনির পরেই তাঁর জনপ্রিয়তা। রশিদ বলছেন, “যতদূর আমি জানি দেশের প্রেসিডেন্টের পরেই সম্ভবত আমি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়!”