ভারতীয় দলের অন্দরের খবর ফাঁস করে দিয়েছিলেন। স্টিং ক্যামেরায় একের পর এক বিষ্ফোরক মন্তব্য তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল বিশ্বক্রিকেট। সেই ধাক্কা সামলাতে না পেরেই এবার সরে দাঁড়ালেন বোর্ডের প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা। সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, চেতন শর্মা নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন বোর্ড সচিব জয় শাহের কাছে। যিনি তা গ্ৰহণও করে নিয়েছেন।
স্টিং অপারেশন কাণ্ডে প্রবল চাপের মুখে পড়েছিলেন চেতন শর্মা। সেই ভিডিওয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, কীভাবে বিরাট কোহলি সবসময় তৎকালীন বোর্ড সভাপতি সৌরভের নিন্দা করে বেড়াতেন। কোহলির নাকি ধারণা হয়েছিল, তাঁর অধিনায়কত্ব খোঁয়ানোর পিছনে হাত রয়েছে সৌরভের।
আরও পড়ুন: সবসময় সৌরভের নিন্দা করে বেড়াত কোহলি! স্টিং ভিডিওয় বিষ্ফোরক স্বীকারোক্তি প্রধান নির্বাচকের
কোহলি-সৌরভ দ্বন্দ্বের পাশাপাশি ভারতীয় দলের তারকারা কীভাবে ফিট থাকার জন্য ইনজেকশন নেয়, সেই বিষয়েও বিষ্ফোরক বয়ান দেন তিনি। রোহিত-কোহলির ইগোর সমস্যা নিয়েও খুল্লামখুল্লা জানান তিনি।
এমন বিবৃতি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরে টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন প্রধান নির্বাচক। যেভাবে তাঁর বক্তব্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে, তারপর ক্রিকেটাররা কীভাবে তাঁর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করবেন, তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: ‘ফিট হতে ইঞ্জেকশন নেয় ভারতীয় তারকারা’, গোপন ক্যামেরায় ডোপিং-বোমা চেতন শর্মার
এমনকি টিম ম্যানেজমেন্টের একাংশের ধারণা নিজের সীমা লঙ্ঘন করেছেন চেতন। যেভাবে তিনি বেশ কিছু ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে নকল ইনজেকশন নিয়ে ফিট থাকার কথা বলেছেন, তাতে তাঁর গদি হারানো কার্যত পাকা হয়ে গিয়েছিল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বোর্ডের এক সূত্র জানিয়েছেন, "ওঁকে সরানোটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা ছিল। ক্রিকেটারদের বিশ্বাস ভেঙে দেওয়ার পর চেতনের এই পদ থেকে সরে যাওয়া নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল।"
চেতন শর্মা সরে দাঁড়ানোর পর নির্বাচক কমিটির সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়াল চারে- সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, সলিল আঙ্কলা, এস শরথ এবং এস দাস। প্রত্যেকেই জানুয়ারিতে দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: কোহলির অফফর্মের ফায়দা নিয়েছেন সৌরভরা! স্টিং ভিডিওয় ঝড় তুলে লন্ডভন্ড করলেন চেতন
টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপে ব্যর্থতার পর চেতন শর্মার নির্বাচনী প্যানেলকে পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছিল। তারপর চারজন জোনাল নির্বাচক নিয়োগ করে চেতন শর্মাকেই প্ৰধান নির্বাচক হিসাবে ফিরিয়ে আনা হয়। আর তাঁর দ্বিতীয় পর্বের মেয়াদ শেষ হল মাত্র একমাসের মধ্যেই।
Read the full article in ENGLISH