Ahmedabad Plane Crash: ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় শেষ আস্ত ফুটবল টিম, আহমেদাবাদ উসকে দিল ৩ দশক আগের স্মৃতি

Ahmedabad Plane Crash: আজ থেকে তিন দশক আগে এমনই এক বিমান দুর্ঘটনায় শেষ হয়ে গিয়েছিল আস্ত একটা ফুটবল টিম। তা-ও আবার জাতীয় ফুটবল দল। সেই বিভীষিকাময় দুর্ঘটনা আজও গায়ে কাঁটা দেয়।

Ahmedabad Plane Crash: আজ থেকে তিন দশক আগে এমনই এক বিমান দুর্ঘটনায় শেষ হয়ে গিয়েছিল আস্ত একটা ফুটবল টিম। তা-ও আবার জাতীয় ফুটবল দল। সেই বিভীষিকাময় দুর্ঘটনা আজও গায়ে কাঁটা দেয়।

author-image
Subhamay Mandal
New Update
Ahmedabad Plane Crash: দুর্ঘটনায় ১৮ জন ফুটবলার-সহ ৩০ জন যাত্রী এবং ক্রু, সেইসঙ্গে জাতীয় দলের কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফ সকলেই মারা যান

Ahmedabad Plane Crash: দুর্ঘটনায় ১৮ জন ফুটবলার-সহ ৩০ জন যাত্রী এবং ক্রু, সেইসঙ্গে জাতীয় দলের কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফ সকলেই মারা যান

1993 Zambia national football team plane crash: বৃহস্পতিবার দুপুরে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে টেক-অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। দেশের ইতিহাসে অন্যতম সাংঘাতিক এই বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad Plane Crash) বহু যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের তালিকাটা আরও দীর্ঘ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত শতাধিক। আহমেদাবাদের এই বিমান দুর্ঘটনায় শোকে পাথর গোটা দেশ।

Advertisment

এই আবহেই বিশ্বের বিভিন্ন ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার স্মৃতি উসকে দিয়েছে আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা। আজ থেকে তিন দশক আগে এমনই এক বিমান দুর্ঘটনায় শেষ হয়ে গিয়েছিল আস্ত একটা ফুটবল টিম। তা-ও আবার জাতীয় ফুটবল দল। সেই বিভীষিকাময় দুর্ঘটনা আজও গায়ে কাঁটা দেয়। ১৯৯৩ সালের ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায়, জাম্বিয়ান বিমান বাহিনীর একটি DHC-5 বাফেলো বিমান গ্যাবনের লিব্রেভিল থেকে ওড়ার কিছুক্ষণ পরেই আটলান্টিক মহাসাগরে বিধ্বস্ত হয়।

বিমানটি জাম্বিয়ার জাতীয় ফুটবল দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়কে নিয়ে ১৯৯৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সেনেগালের বিপক্ষে ডাকারে খেলতে যাচ্ছিল। এতে ২৫ জন যাত্রী এবং পাঁচজন ক্রু সদস্য নিহত হন। সরকারি তদন্তে দেখা যায় যে ইঞ্জিনে আগুন লাগার পর পাইলট ভুল ইঞ্জিন বন্ধ করে দিয়েছিলেন । এতে আরও দেখা যায় যে পাইলটের ক্লান্তি এবং যান্ত্রিক ত্রুটি দুর্ঘটনার কারণ ছিল।

আরও পড়ুন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বিমান, বীভৎস দুর্ঘটনা! ঈশ্বরে বিশ্বাস দৃঢ় হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর

Advertisment

জাম্বিয়ার জাতীয় দল ছিল খুবই সম্ভাবনাময় ছিল। ১৯৮৮ সালে সিওলে অনুষ্ঠিত অলিম্পিক গেমসে ইতালির বিরুদ্ধে তাদের ৪-০ ব্যবধানে জয়ের মধ্যে ছিল কালুশা বাওয়ালিয়ার হ্যাটট্রিক, যিনি সেই বছরের শেষের দিকে আফ্রিকান ফুটবলার অফ দ্য ইয়ার হয়েছিলেন। তাঁদের চোখ ছিল ১৯৯৪ সালের আফ্রিকা কাপ অফ নেশনস ট্রফির দিকে, ১৯৯০ সংস্করণে তৃতীয় স্থান অর্জন করে এবং তাঁদের প্রথম বিশ্বকাপে স্থান অর্জন করে।

দুর্ঘটনায় ১৮ জন ফুটবলার-সহ ৩০ জন যাত্রী এবং ক্রু, সেইসঙ্গে জাতীয় দলের কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফ সকলেই মারা যান।

২০১২ সালে, জাম্বিয়া দুর্ঘটনাস্থল থেকে মাত্র কয়েকশো মিটার দূরে লিব্রেভিলে আফ্রিকা কাপ অফ নেশনস জিতেছিল। এই জয় সেই ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারানোদের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছিল। স্বাভাবিক এবং অতিরিক্ত সময়ের পরে খেলা ০-০ ব্যবধানে শেষ হওয়ার পর পেনাল্টি শুট আউটে জাম্বিয়া আইভরি কোস্টকে ৮-৭ গোলে হারিয়েছিল ।

আরও পড়ুন আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুমিছিল! শোকে পাথর গোটা দেশ, শোকবার্তা বিদেশ থেকেও

ahmedabad plane crash