অনেক কষ্টে সুযোগ এসেছিল। বহুদিন পরে জাতীয় দলের প্রথম একাদশের জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। তবে সেই সুযোগ সদ্ব্যবহার করার আগেই আউট। অজিঙ্কা রাহানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হওয়ার পরেই রাগে ফেটে পড়লেন তারকা ক্রিকেটার।
দেড় মাস জাতীয় দলের বাইরে বসে থাকার পরে পন্থ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সুযোগ পাননি। তবে তিনিই যে তিন ফর্ম্যাটে একনম্বর কিপার-ব্যাটসম্যান তা দেখানোর সুযোগ এসেছিল ওয়েলিংটনে। হর্ষ ভোগলে সহ বাকি সমালোচকদেরও চুপ করিয়ে দেওয়ার মোক্ষম সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন শাশুড়ির সঙ্গে কার্তিকের ‘কানেকশন’ প্রকাশ্যে! কুর্নিশ করছে ক্রিকেট মহল
তবে রাহানের ভুলেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হল তারকা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে। প্রথম দিনের শেষে দু-জনই ক্রিজে নট আউট ছিলেন। ভারতের ইনিংস গড়ে তোলার দায়িত্বে ছিলেন দু-জনেই। তবে সাতসকালে রান আউট সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়। টিম সাউদির ডেলিভারি রাহানে হালকা করে স্কোয়্যারে ঠেলে রানের জন্য কল করেছিলেন। প্রথমে রানের জন্য ক্রিজ ছাড়লেও চকিতেই ইতঃস্তত বোধ করতে থাকেন। কারণ ততক্ষণে আজাজ প্যাটেল বল সংগ্রহ করে নিয়েছিলেন। রাহানে ততক্ষণে পন্থের দিকে না তাকিয়েই নন স্ট্রাইকিং এন্ডে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাই বাধ্য হয়েই সিঙ্গলস পুরো করার জন্য অন্যপ্রান্তে ছুটতে বাধ্য হন পন্থ। ততক্ষণে বিজে ওয়াটলিং বল সংগ্রহ করে উইকেট ভেঙে দিয়েছেন।
Poor rishabh pant. #nzvind Rishabh Pant pic.twitter.com/0VyjUuUl2g
— Shubham (@Shubham22605990) February 22, 2020
আর তারপরেই আউট হয়ে প্রকাশ্যেই সতীর্থের উপরে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন যুব তারকা। ক্রিজ থেকে সাজঘরে ফেরার সময় স্পষ্টতই রাগে গরগর করতে থাকেন তিনি। শাপ-শাপান্ত করেন রাহানের। সেই সময় ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন স্কট স্টাইরিস ও সঞ্জয় মঞ্জরেকর। দু-জনেই এক বিষয়ে একমত, পন্থ নন-স্ট্রাইকিং এন্ডে ছিলেন। তাঁর উচিত ছিল স্ট্রাইকিং এন্ডে থাকা রাহানের উপরে আর একটু বেশি আস্থা থাকা।
আরও পড়ুন নিউজিল্যান্ডে ১ ওভারে ৭৭ রান! আশ্চর্য পরিসংখ্যানে এখনও তাজ্জব ক্রিকেট দুনিয়া
ব্যাটসম্যানের ভুল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে মঞ্জরেকর বলছিলেন, "পন্থ আসলে বল কোথায় গিয়েছিল, তা দেখার চেষ্টা করছিল। এতেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। রান নেওয়ায় ইস্তঃস্তত বোধ করছিল।" স্টাইরিস জানালেন, "নন স্ট্রাইকিং এন্ডে দাঁড়ানো ব্যাটসম্যান হিসেবে সবসময় সতীর্থের কলের উপরে ভরসা করতে হয়। পন্থ আর একটু রাহানে বিশ্বাস করলে পারতেন।"
মঞ্জরেকর এর সঙ্গেই সংযোজন করেন, "যদি ও বলের দিকে না তাকিয়ে রাহানের কলের উপর ভরসা করত, তাহলে হয়তো নির্বিঘ্নে ক্রিজের অন্যপ্রান্তে পৌঁছে যেতে পারত। তবে ও বলের দিকে তাকিয়ে দেরি করে ফেলেছিল। রাহানে এমন একজন যাঁকে বিশ্বাস করাই যায়।"
Read the full article in ENGLISH