সদ্য়সমাপ্ত বিশ্বকাপের ১৫ সদস্য়ের প্রাথমিক দলে সুযোগ পাননি আম্বাতি রায়ডু। এমএসকে প্রসাদ অ্যান্ড কোং ভারতের প্রাক্তন মিডল অর্ডার ব্য়াটসম্য়ানকে দিয়েই দল বেছে নিয়েছিল। রায়ডুর পরিবর্তে বিজয় শঙ্করকে দলে নেওয়া হয়েছিল। প্রসাদ জানিয়েছিলেন যে, বিজয় একজন "থ্রি ডায়মেনশনাল প্লেয়ার"। তাই তাঁকে দলে নেওয়া হয়েছে।
দল গঠনের পরেই আম্বাতি রায়ডুর একটা টুইট হইচই ফেলে দিয়েছিল। তিনি লিখেছিলেন, “বিশ্বকাপ দেখার জন্য নতুন থ্রি-ডি গ্লাসের সেট অর্ডার দিয়েছি।” রায়ডুর এই টুইটের পরেই টুইটারাত্তিরা তাঁর সেন্স অফ হিউমার ও স্পিরিটের ভূয়সী প্রশংসা করেই তাঁকে সমর্থন করেছিলেন। নির্বাচকদের ঘুরিয়ে একহাতই নিয়েছিলেন রায়ডু।
আরও পড়ুন: থ্রি-ডি চশমায় বিশ্বকাপ দেখার ইচ্ছা রায়ডুর, ভাইরাল হলো তাঁর টুইট
যদিও তাঁর টুইটকে অত্যন্ত মজার ছলেই নিয়েছিলেন প্রসাদ। ভারতের ক্য়ারিবিয়ান সফরের দল নির্বাচনের সময় সেকথা বললেন তিনি। দেশের প্রধান নির্বাচক বললেন, "এটা দারুণ টুইট ছিল। ভীষণ সময়পযোগী। আমি সত্য়িই উপভোগ করেছি। আমি জানি না কীভাবে ওর মাথায় এল এটা!"
প্রসাদ রায়ডুকে দলে না নেওয়ার প্রসঙ্গে বলেছেন, "রায়ডুকে দলে না-নেওয়ার জন্য় নির্বাচক কমিটি বা আমার কোনও পক্ষপাতিত্ব ছিল না।প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসেবে আমরা বুঝতে পারি ও কত'টা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিল। আমি রায়ডুর ব্য়াপারে একটা ছোট্ট উদাহরণ দিতে চাই। রায়ডুর ২০১৮-র আইপিএলে ১৭-১৮টি ম্য়াচ দেখেই ওকে ওয়ান-ডে দলে নেওয়া হয়েছিল। অনেক সমালোচনাও হয়েছিল। ও যখন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান-ডে ম্য়াচের আগে ইয়োইয়ো টেস্টে ব্য়র্থ হয়, তখন কিন্তু নির্বাচক কমিটি ওর পাশেই ছিল। ওকে এক মাসের ফিটনেস পোগ্র্যামেই রাখা হয়। ও ফিট হয়ে দলে আসে। এরপর ওর প্রতি আমাদের সমর্থন ছিল। বিশ্বকাপ দলের কিছু পারমুটেশন ও কম্বিনেশনের জন্য় ওকে দলে নেওয়া সম্ভব হয়নি। আমরা যখন কোনও প্লেয়ারকে দলে নিই, তখন সে ভাল খেললে আমাদের ভাল লাগে। যখন কেউ এভাবে বেরিয়ে যায়, একই ভাবে আমরা সেটা অনুভব করি। আবারও বলছি কোনও পক্ষপাততুষ্ট না-হয়েই আমরা বিজয় শঙ্কর, ঋষভ পন্থ এবং ময়ঙ্ক আগরওয়ালকে নিয়েছিলাম।" প্রসাদ আরও জানান যে, পন্থকে দলে নেওয়া হয়েছিল টিম ম্য়ানেজমেন্টের বাঁ-হাতি ক্রিকেটারের চাহিদা মেনেই। অন্য়দিকে ময়াঙ্ক ছাড়া আর কোনও বিকল্প তাঁদের হাতে ছিল না।