বাইশ গজে লজ্জার ইতিহাস গড়লেন কোহলিরা। প্রথম অধিনায়ক হিসেবে কোহলি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১০ উইকেটে হারের নজির গড়লেন। আর গ্যালারিও কলঙ্কজনক ঘটনার সাক্ষী থাকল। সাদা টি-শার্ট পড়ে হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে বিশাল সংখ্যক ছাত্র গ্যালারিতে হাজির হয়েছিলেন। এনআরসি এবং সিএএ বিরোধী স্লোগানও দিতে দেখা যায় তাদের। আইকনিক স্টেডিয়ামের নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দিলেও নিজেদের মতো করে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের প্রতিবাদ ব্যক্ত করতে থাকেন।
জানা যায়, স্টেডিয়ামে প্রবেশ করার সময়ে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা গ্যালারিতে জড়ো হয়েছিল। ম্যাচ শুরুর পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নামে কটূ কথা বলতেও শোনা যায় তাদের। গ্যালারি থেকে তারা চিৎকার করতে থাকে, "নো এনআরসি, নো সিএএ, নো এনপিআর।"
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রতিবাদী এক মুখ ফাহাদ আহমেদ, যিনি টাটা ইন্সটিটিউটে সোশ্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশুনো করেন, তিনি জানান, "মুম্বইয়ের ক্রিকেটপ্রেমীরা অধিকাংশই ছাত্র-ছাত্রী। তারা সিএএ বিরোধীতা করতে এই ম্যাচকেই বেছে নিয়েছে। ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে বড় ধরনের দর্শক সমাগম হয়ে থাকে। সেই দর্শকদের কাছে সাংবিধানিক সঙ্কটের বার্তা পৌঁছে দিয়েছে তারা। ভারতে বর্তমানে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘণ হয়ে চলেছে, তা প্রত্যেকের জানা প্রয়োজন।"
পাশাপাশি সেই ছাত্র সিএএ আইন-কে অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, "আমরা জানি, খেলা ও রাজনীতিকে পৃথক করা সম্ভব নয়। যদি এনআরসি ও সিএএ লাগু করা হয়, তাহলে হয়তো আমরা স্বাধীনভাবে ক্রিকেটম্যাচও দেখতে পারব না।"
প্রতিবাদী ক্রিকেটপ্রেমীদের বারেবারে নিরাপত্তাকর্মীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্লোগান না দিতে। টি শার্টের রাজনৈতিক শব্দগুচ্ছ জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দিতে। অনেকে প্রতিবাদের প্রতীকী হিসেবে কালো টুপি পড়েও হাজির হয়েছিল। তাদেরকে বলা হয়, কালো টুপি খুলে ফেলতে। তবে বাধা উপেক্ষা করেই ছাত্র-ছাত্রীরা স্লোগান জারি রাখে।
অনেক দর্শক আবার প্রতিবাদী ছাত্রদের পালটা দিতে হাতিয়ার করে জয় শ্রী রাম ধ্বনি-কে।
Read the full article in ENGLISH