অ্যাসেজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন বেনজিরভাবে আঘাত পেলেন ক্যাপ্টেন রুট। ব্যাট করার সময় মিচেল স্টার্কের বল সরাসরি আঘাত হানল রুটের গোপনাঙ্গে। ফাইনাল সেশনের খেলা চলাকালীন স্টার্কের গতিময় বল আছড়ে পড়তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন ইংল্যান্ডের দলনেতা।
চিৎকার করে ক্রিজে লুটিয়ে পড়তেই বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ানরা ছুটে যান রুটের দিকে। সেই সময় তিনি ২০ রানে ব্যাটিং করেছিলেন। ফিজিওর কাছ থেকে লম্বা পরিচর্যার পরে শেষমেশ উঠে দাঁড়ান তিনি।
আরও পড়ুন: পেসার থেকে অফস্পিনার! রবিনসনের কীর্তিতে অ্যাসেজে মহাকীর্তি, দেখুন চাঞ্চল্যকর ভিডিও
এরপরে খেলা চালিয়ে গেলেও বেশ অস্বস্তি হচ্ছিল রুটের। রান নেওয়ার সময় হোক বা ব্যাটিং করার সময় দৃশ্যতই যন্ত্রনাকাতর অভিব্যক্তি ফুটে উঠছিল রুটের শরীরী আচরণে। রুট যন্ত্রনায় ছটফট করলেও অ্যাসেজের কমেন্ট্রি বক্সে অবশ্য এই নিয়ে হাসির ফোয়ারা ছুটল।
এর আগে মর্নিং সেশনে তলপেটে ব্যথার জন্য মাঠে নামেননি তিনি। স্ক্যান রিপোর্ট ঠিকঠাক আসার পরই ব্যাট করতে নেমেছিলেন তিনি। তবে রুটের যন্ত্রনা আরও বাড়িয়ে দিলেন মিচেল স্টার্ক।
এরপরে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সময় বারেবারেই যন্ত্রণায় কুঁকড়ে উঠছিলেন তিনি। সিঙ্গল রান নিতে গিয়েও বারবার থমকে যাচ্ছিলেন। রুটের এমন অবস্থা দেখে হাসি চেপে রাখতে পারেননি কমেন্ট্রি করা রিকি পন্টিং। গিলক্রিস্টও সেই সময় ধারাভাষ্য করছিলেন। রুটকে দেখে যেভাবে হাসি ঠাট্টায় মাততে দেখা গেল প্রাক্তন অস্ট্রেলীয়দের, তার অনেকেই কড়া সমালোচনা করেছেন।
রুট অবশ্য যন্ত্রণাকাতর অবস্থায় বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। দিনের শেষ বলে স্টার্কের বলেই আউট হয়ে যান তিনি ব্যক্তিগত ২৪ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু উইকেট শুরুতে দখল করে ইংল্যান্ড। তবে প্ৰথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ন মার্নাস লাবুশানে এবং ট্র্যাভিস হেড দুজনে ৫১ করে দলকে ৪০০ রানের গন্ডি পার করিয়ে দেন। ইংল্যান্ডের সামনে শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য ৪৬৮ রান খাড়া করে অজিরা।
রেকর্ড রান তাড়া করতে নেমে দিনের শেষে হারের মুখে ইংল্যান্ড। স্কোরবোর্ডে ৮২ রান তোলার ফাঁকেই রুট এন্ড কোং হারিয়েছে ৪ উইকেট। রোরি বার্নস, হাসিব হামিদ, ডেভিড মালান, জো রুট সকলেই আউট হয়ে প্যাভিলয়নে ফিরে গিয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন