Ashwin Retirement Speech in dressing room post India vs Australia Brisbane Test: হৃদয় দুমড়ে মুচড়ে দেওয়া বিদায়ী বার্তা। সেই বার্তার সারমর্ম হল 'প্রত্যেকের সময় আসবে।' বর্ডার গাভাসকার ট্রফির তৃতীয় টেস্টের পরেই এল অবসর। তারপরেই হৃদয় উপচানো ড্রেসিংরুম বার্তা।
বিসিসিআইয়ের তরফে অশ্বিনের অবসরকালীন ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে সতীর্থ বা প্রতিপক্ষের সঙ্গে উষ্ণ আলিঙ্গন করছেন। অস্ট্রেলিয়ার দলের টিম জার্সি সংগ্রহ করছেন নাথান লিয়ন এবং প্যাট কামিন্সের তরফ থেকে। ড্রেসিংরুমে আবেগী উষ্ণতা মাখিয়ে দিচ্ছেন অনুজ যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমান গিলদের।
তারপরে কোনওরকমে আবেগ সংযত করে বলে চললেন। শুরুটা হল, "আমি তা প্রকাশ করছি না, তবে এটা সত্যিই আবেগঘন এক মুহূর্ত।" তারপর গড়গড় করে বলতে থাকলেন, "সত্যি বলতে, টিম হাডলে মনের কথা বলা অনেক সহজ। ধন্যবাদ রোহিত (শর্মা), ধন্যবাদ বিরাট, ধন্যবাদ গৌতি (গম্ভীর) ভাই। আজ আমি ভীষণই খুশি।"
এরপরে অশ্বিন প্ৰথমবার অস্ট্রেলিয়া সফরের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন। যে সফরে রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণদের মত কিংবদন্তিদের বিদায় হয়েছিল। ২০১৩-য় তারপর অবসরে যাবেন শচীন তেন্ডুলকর। "মনে হচ্ছে যেন এইমাত্র আমি প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া সফরে এসেছি। আমি সবাইয়ের রূপান্তর প্রত্যক্ষ করেছি। রাহুল পাজি বিদায় নিয়েছেন, শচীন পাজি বিদায় নিয়েছেন।"
আরও পড়ুন: বাইশ গজ থেকে অবসর! কোহলি-রোহিত নন, গাব্বা টেস্টের পরেই টিম ইন্ডিয়াকে টাটা কিংবদন্তির
অশ্বিনের এরপরে সংযোজন, "তবে বিশ্বাস করুন, প্রত্যেকের বিদায়ের মুহূর্ত আসে এবং এখন সত্যিই আমার সময়। আমি আমার সময় পুরোপুরি উপভোগ করেছি। আমি কয়েকজনের সঙ্গে দুর্দান্ত সম্পর্ক গড়ে তুলেছি কেরিয়ারে, বিশেষ করে গত ৪-৫ বছরে। আমি এমন কিছু সতীর্থদের রেখে যাচ্ছি, যারা আমার ভীষণ কাছের।"
"গত চার বছরে প্রতিটি মুহূর্ত উপলব্ধি করেছি। আমি ওঁদের সম্পর্ককে কতটা মূল্য দিই এবং একজন খেলোয়াড় হিসেবে তাদের কতটা সম্মান করি, বুঝতে শিখেছি। আমি জাতীয় দলে দুর্দান্ত একটা সময় কাটিয়েছি।"
এখনই শেষ নয় ক্রিকেট
তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। তবে ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন। কনফার্ম করেছেন নিজেই। বলে দিয়েছেন, জাতীয় দলের সকলের পারফরম্যান্সে নজর থাকবে তাঁর, "আমি বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার ফ্লাইট ধরব। তবে আমি সকলের বিষয়ে অবগত থাকব এবং মেলবোর্নে তোমরা কেমন পারফর্ম করছো সেদিকে নজর থাকবে। আমি তোমাদের প্রত্যেকের পারফরম্যান্স দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করব।"
"একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে আমার পথচলা শেষ হতে পারে, কিন্তু একজন ক্রিকেট পাগল হিসেবে আমার পথচলা কখনই শেষ হবে না। তোমাদের সকলের জন্য শুভকামনা রইল। যদি কখনও তোমাদের আমার প্রয়োজন হয়, আমি শুধু একটা ফোন কল দূরেই থাকব।"
২০১১-য় বিশ্বকাপ এবং ২০১৩-য় ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী দলের সদস্য হয়েছেন। ২০১০-এ অভিষেকের পর অশ্বিন তিন ফরম্যাট মিলিয়ে খেলেছেন ২৮৭ ম্যাচ। সব ফরম্যাট মিলিয়ে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৭৬৫টি। ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকায় তিনি রয়েছেন দুই নম্বরে- অনিল কুম্বলের পর (৯৫৬)। সমস্ত দেশের হিসেবে তাঁর স্থান ১১তম।