Advertisment

এশিয়াডে সোনা জয়ী, অর্থাভাবে লড়ছেন মূৃত্যুর সঙ্গে

হাকাম সিং ভট্টল, দেশকে এশিয়ান গেমস থেকে সোনা এনে দিয়েছিলেন এই ধ্যানচাঁদ পুরস্কার জয়ী অ্যাথলিট। আজ অর্থাভাবে মৃত্যুর সঙ্গে হাসপাতালে পাঞ্জা লড়ছেন বছর ৬৪-র পঞ্জাবের বাসিন্দা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
hakkam singh bhattal

এশিয়াডে সোনা জয়ী, অর্থাভাবে মূৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন

হাকাম সিং ভট্টল, দেশকে এশিয়ান গেমস থেকে সোনা এনে দিয়েছিলেন এই ধ্যান চাঁদ পুরস্কার জয়ী অ্যাথলিট। আজ অর্থাভাবে মৃত্যুর সঙ্গে হাসপাতালে পাঞ্জা লড়ছেন বছর ৬৪-র পঞ্জাবের বাসিন্দা। লিভার ও কিডনির গুরতর সমস্যায় অসুস্থ হয়ে শয্য়াশায়ী তিনি। আর্থিক সাহায্য়ের জন্য সরকারেরও দ্বারস্থ হয়েছেন পরিবারের লোক।

Advertisment

১৯৭২-এ ছ’নম্বর শিখ রেজিমেন্টে হাবিলদারের পদে যোগ দেন। এই মুহূর্তে পরিবারের যা আর্থিক অবস্থা তাতে করে হাকামকে মাল্টি-স্পেশালিটি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রজিন্দর কউর ভট্টলের পড়শি হাকাম। ১৯৭৮-এ ২০ কিলোমিটার হাঁটায় ব্যাংকক এশিয়াডে স্বর্ণপদক পান তিনি। এর পরের বছর টোকিওর এশিয়ান ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন তিনি।

১৯৮১-তে মারাত্মক দুর্ঘটনার পর বাধ্য হয়ে স্পোর্টিং কেরিয়ার ছেড়ে দেন তিনি। খেলা ছাড়ার পর পাঁচ লক্ষ টাকার নগদ পুরস্কার পান তিনি। ২০০৮-এর ২৯ অগাস্ট হাকাম ধ্যানচাঁদ পুরস্কারে সম্মানিত হন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা প্যাটেলের হাত থেকে পুরস্কার পান তিনি। ক্রীড়াক্ষেত্রে এই জীবনকৃতী সম্মান দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য ভারতে আসতে চান পাক হকি খেলোয়াড় মনসুর আহমেদ

১৯৮৭-তে সেনা থেকে অবসর নেন হাকাম। যদিও এর ১৬ বছর পর তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘোরে। ২০০৩-এ পঞ্জাব পুলিশ তাঁর যোগ্যতার সম্মান দেয়। কনস্টেবলের পদে চাকরি দিয়ে হাকামকে অ্যাথলেটিক কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়। চার বছর আগে পঞ্জাব পুলিশের চাকরি থেকেও অবসর নেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর সন্তান সুখজিৎ  সিং। হাকামের স্ত্রী বিনীত কউর জানিয়েছেন যে, তাঁর স্বামীর লিভারটা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য পাননি তাঁরা। পঞ্জাবের বর্নালার এক স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে।সেখানে চার দিন রাখা হয়েছিল হাকামকে। সেখান থেকে সাংরুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে।

Advertisment