গত মরশুমে এটিকে মোহনবাগানের শুরুটা দারুণ হয়েছিল। এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে দিয়েছিল মেরিনার্সরা। এরপরে মালদ্বীপের মাজিয়ার বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ জয় এবং গ্রুপের শেষ ম্যাচে বসুন্ধরার সঙ্গে ড্রয়ের সুবাদে ইন্টার জোনাল প্লে অফের সেমিফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করেছিল হাবাসের সবুজ মেরুন বাহিনী।
তবে শুরুটা আশাপ্রদ হলেও নাসাফের কাছে হাফডজন গোলে বিধ্বস্ত হয় এটিকে মোহনবাগান। আইএসএলে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড পরপর দু-ম্যাচে হারিয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্স এবং ইস্টবেঙ্গলকে। তারপরে জোড়া ড্র এবং জোড়া হারে এটিকে মোহনবাগানে হাবাস বিদায় সম্পন্ন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: A লিগের কয়েক কোটির প্রস্তাব ফিরিয়ে ISL-এই কৃষ্ণ! সই করলেন তারকা খচিত দলে
হাবাসকে সরিয়ে এটিকে মোহনবাগান সরাসরি নিয়ে আসে হুয়ান ফেরান্দোকে। নতুন স্প্যানিশ কোচের অধীনে ধীরে ধীরে ফর্মে ফেরে এটিকে মোহনবাগান। প্লে অফেও পৌঁছে যায়। যদিও হায়দরাবাদ এফসির কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় মেরিনার্সদের।
আইএসএলে ব্যর্থতা সত্ত্বেও এএফসি কাপের অভিযানে বেশ ছন্দে লেগেছে এটিকে মোহনবাগানকে। কোয়ালিফাইং রাউন্ডে ব্লুস্টার এবং আবাহনীকে হারিয়ে মূলপর্বে পৌঁছয় মেরিনার্সরা। তবে গ্রুপের প্ৰথম ম্যাচে আইলিগ চ্যাম্পিয়ন গোকুলামের কাছে হেরে বিপদে পড়ে গিয়েছিল সবুজ মেরুন শিবির। শেষ দুই ম্যাচে বসুন্ধরা এবং মাজিয়াকে হারিয়ে ইন্টার জোনাল প্লে অফের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে ফেরান্দোর দল।
টিম ফর্মেশন:
ফেরান্দো দুই ছকে আসন্ন মরশুমে দল সাজাতে পারেন।
৪-২-৩-১ ফর্মেশন- এখনও বক্স স্ট্রাইকারের নাম সরকারিভাবে ঘোষণা করেনি এটিকে মোহনবাগান। তবে ফেরান্দো যাঁকেই বাছাই করুন না কেন, স্রেফ গোল করে ছাড়াও তাঁর ওপর বাড়তি দায়িত্ব থাকবে।
ফেরান্দোর পজেশনভিত্তিক স্ট্র্যাটেজিতে প্লেয়ারদের ফ্রি স্পেসের সদ্ব্যবহার করার জন্য আরও গতিশীল হতে হবে। হুয়ান ফেরান্দো সেই কারণেই ৪-২-৩-১ ছক এত পছন্দ করেন।
আরও পড়ুন: চরম দুঃসংবাদ ISL-এ! দেশের সেরা লিগের তকমা হারানোর পথে সুপার লিগ
ফরোয়ার্ডের পিছন থেকে প্লে মেকারের দায়িত্ব থাকবে হুগো বৌমাসের ওপর। দুই প্রান্ত থেকে মনবীর সিং এবং লিস্টন কোলাসো কাট করে বক্সের মধ্যে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। বক্স টু বক্স মিডফিল্ডার হিসাবে জনি কাউকো আক্রমণ এবং রক্ষণে ভারসাম্য বজায় রাখবেন। দুজন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের ঠিক ওপরে স্ক্রিন হিসাবে খেলানো হতে পারে দীপক ট্যাংগ্রিকে।
ফুলব্যাক আশিক কুরুনিয়ান এবং আশিস রাইয়ের ওপর নির্দেশ থাকবে টাচলাইন পর্যন্ত আক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়ার। যাতে দুজনে প্রতিপক্ষের অর্ধে উঠে ক্রস তুলতে পারেন। ফেরান্দো সেন্ট্রাল ব্যাক হিসাবে এমন দুই তারকাকে বাছবেন যাঁরা রক্ষণের পাশাপাশি দলের বিল্ড আপের সময়েও কার্যকরী হতে পারেন।
আরও পড়ুন: স্ত্রী-র ছবি পোস্ট করে ATKMB-কে কটাক্ষ! বেঙ্গালুরুতে চুক্তি করেই স্বমেজাজে রয় কৃষ্ণ
৪-৩-৩ ফর্মেশন- কোনও কারণে ৪-২-৩-১ ফর্মেশন ক্লিক না করলে বিকল্প হিসাবে ফেরান্দোর নোটবুকে থাকবে ৪-৩-৩ ছক। ৪-২-৩-১ ছকের মতই ফুটবলারদের মুভমেন্ট একই থাকবে এই ফর্মেশনেও। হুগো বৌমাস এবং জনি কাউকো একটু ডিপ থেকে খেলা অপারেট করতে পারেন। যাতে এটাকিং থার্ডে আরও বেশি সৃজনশীলতা দেখা যায়। লেনি রদ্রিগেজকে ওই ফর্মেশনে সেন্ট্রাল ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসাবে দেখা যেতে পারে।