এটিকে মোহনবাগান: ১ (ডেভিড উইলিয়ামস)
বসুন্ধরা কিংস: ১ (ফার্নান্দেজ)
হাফ টাইমের আগে ১০ জনে জয়ে গিয়েছিল প্রতিপক্ষ। তা সত্ত্বেও বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে ১-১ ড্র করে বসল এটিকে মোহনবাগান। তবে তাতে নকআউটে পৌঁছনো আটকাচ্ছে না রয় কৃষ্ণদের গ্রুপ ডি-র সেরা হয়েই পরের পর্বে পৌঁছে গেল এটিকে মোহনবাগান।
মাজিয়া এফসি এবং বেঙ্গালুরুরর বিরুদ্ধে দুই ম্যাচেই গোল করে টুর্নামেন্টে অপ্রতিরোধ্য ফর্মের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রয় কৃষ্ণ। তবে মঙ্গলবার বসুন্ধরার কাছে তিনি আটকে যেতেই ছন্নছাড়া লাগল সবুজ মেরুন ব্রিগেডকে।
আরও পড়ুন: সন্দেশহীন বাগানে মুশকিল আসান ক্যাপ্টেন কৃষ্ণ! এএফসি-র শুরুতেই সবুজ মেরুন ম্যাজিক
২৮ মিনিটেই হাবাসের দলকে পিছিয়ে দিয়েছিলেন ফার্নান্দেজ। রবিনহোর সঙ্গে যুগলবন্দিতে অমরিন্দরকে টপকে বাংলাদেশের ক্লাবটিকে লিড এনে দিয়েছিলেন ফার্নান্দেজ। দ্বিতীয়ার্ধে সেই গোল শোধ করেন ডেভিড উইলিয়ামস। যদিও তারপরে আর জয় সূচক গোল আসেনি।
আগের ম্যাচের একাদশ থেকে কোচ হাবাস একটিই পরিবর্তন এনেছিলেন এদিন। মালদ্বীপের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সুমিত রাঠির জায়গায় নামিয়ে দিয়েছিলেন আশুতোষ মেহতাকে। বাকি একাদশ অপরিবর্তিতই ছিল।
ম্যাচে দুই দলের মধ্যে মল্লযুদ্ধে শেষমেষ ক্ষতির শিকার হয় বসুন্ধরাই। সবমিলিয়ে গোটা ম্যাচে রেফারি ৮বার হলুদ কার্ড দেখাতে বাধ্য হলেন। বিরতির ঠিক আগেই শুভাশিস বোসের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখলেন বসুন্ধরার সুশান্ত ত্রিপুরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের গোটা জন্য জুড়েও দশ জনের বিপক্ষ দল পেয়ে ফায়দা তুলতে পারেননি মেরিনার্সরা।
তার আগে এটিকে মোহনবাগানকে বিপদে ফেলে বসুন্ধরার হয়ে প্রথম গোলের খাতা খুলে ফেলেছিলেন জোনাথন ফার্নান্দেজ। এরপরে টানা আক্রমণ শানিয়েও গোল পাচ্ছিলেন না কৃষ্ণরা। শেষ পর্যন্ত ৬৮ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর পাস ধরে হাবাসের মুখ রক্ষা করেন ডেভিড উইলিয়ামস।
দল নকআউট পর্বে পৌঁছনো নিশ্চিত করতেই সবুজ মেরুনের শীর্ষকর্তা সঞ্জীব গোয়েঙ্কা জানিয়েছেন, "কঠিন পরিস্থিতিতে দল যেভাবে পরের পর্বে উঠল সেইজন্য কোচ, ফুটবলার সকলের ধন্যবাদ প্রাপ্য। পাশে থাকার জন্য সমর্থকদেরও অনেক ধন্যবাদ।"
এটিকে মোহনবাগান:
অমরিন্দর সিং, প্রীতম কোটাল, আশুতোষ মেহতা, কার্ল ম্যাকহিউ, মনবীর সিং, দীপক টাংগ্রি, শুভাশিস বোস, লিস্টন কোলাসো, লেনি রড্রিগেজ, ডেভিড উইলিয়ামস, রয় কৃষ্ণ
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন