ভারতে তিন মরশুম খেলার পরে এবার পাততাড়ি গোটালেন মোহনবাগানের একসময়ের নয়নের মনি ফ্রান গঞ্জালেজ। দু-বছরের চুক্তিতে তিনি যোগ দিতে চলেছেন স্পেনের তৃতীয় ডিভিশনের তেরেসা এফসিতে। গত মরশুমে রিয়েল কাশ্মীরের হয়ে খেলতে দেখা গিয়েছিল ফ্রানকে। মোহনবাগান ছাড়ার পরে খেলেছেন বেঙ্গালুরু এফসিতেও। তবে আসন্ন মরশুমে ভারত নয়, ফ্রান গঞ্জালেজের ঠিকানা হতে চলেছে তেরেসা এফসিতে।
২০১৯-এ মোহনবাগানে সই করেছিলেন তারকা ফুটবলার। কিবু ভিকুনার কোচিংয়ে অচিরেই দুরন্ত পারফরমেন্সের সুবাদে সমর্থকদের নয়নের মণি হয়ে ওঠেন। সমর্থকরা ডাকনাম দেন 'বস'। নেরোকার বিরুদ্ধে স্রেফ হ্যাটট্রিকই নয়, সেই মরশুমে সবুজ মেরুন জার্সিতে মোট ১০ গোল করে যান সুপারস্টার। ২০১৯/২০ আইলিগে যুগ্ম সর্বোচ্চ গোলস্কোরার হন তিনি সবুজ মেরুন সতীর্থ বাবা দিয়ারার সঙ্গে। কিবু ভিকুনার আইলিগ জয়ের অন্যতম প্ৰধান অস্ত্র ছিলেন ফ্রান।
আরও পড়ুন: যুব বিশ্বকাপে খেলা স্ট্রাইকারকে চেয়েও পেল না ইস্টবেঙ্গল! তারকার মন বদলাল শেষ মুহূর্তে
পরের বছর মার্জারের পরে এটিকে মোহনবাগান দলে অবশ্য ঠাঁই হয়নি ফ্রানের। তিনি চলে যান বেঙ্গালুরু এফসিতে। মোহনবাগানের সাফল্য অবশ্য বেঙ্গালুরুতে ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ক্লাবের চরম খারাপ পারফরম্যান্সের পর গঞ্জালেজকে শেষমেশ রিলিজ করে দেয় ব্লুজ'রা। বেঙ্গালুরুর হয়ে তাঁর নামের পাশে মাত্র ১ গোল।
২০২১-এ আইলিগে প্রত্যাবর্তন করে ফ্রান নাম লেখান রিয়েল কাশ্মীর দলে। আবির্ভাবেই রিয়েল কাশ্মীরের জার্সিতে গোল করেছিলেন ইন্ডিয়ান এরোজের বিরুদ্ধে। এছাড়াও আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে গোল করে দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে সাহায্য করেন তিনি।
ভারতে খেলতে আসার আগে ফ্রান কেরিয়ারের অধিকাংশ সময়ই কাটিয়েছেন লা লিগার বিভিন্ন ডিভিশনে। খেলেছেন আলমেইরা, দিপর্তিভো, কর্ডোবা, হারকিউলিস, জারাগোজার মত নামি ক্লাবে। সাইপ্রাস, থাইল্যান্ড, পোল্যান্ডের বাইতভা, হংকং প্রিমিয়ার লিগের লি ম্যান ক্লাবেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে মাঝমাঠের এই তারকার।
জর্দি লোপেজের কোচিংয়ে এবার তেরেসা এফসির প্ৰথম এগারোয় অতিমেটিক চয়েস ফ্রান। ছয় বছর পর স্পেনের ফুটবলে প্রত্যাবর্তন ঘটছে তাঁর। ভারতের সাফল্য নিজের দেশেও দেখাতে পারবেন কিনা, সেটা সময়ই বলবে।