এ এফ সি কাপের প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দিলেন রয় কৃষ্ণ। তারপরেই বলে দিলেন, “ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকে আমাকে সারাবছর যাঁরা উদ্বুদ্ধ করেন সেই সবুজ মেরুন সমর্থকদের উচ্ছ্বাস দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। টিভিতে, ইউটিউবে সেই উচ্ছ্বাস দেখেছি। এবার তাঁদের চোখের সামনে খেলার সুযোগ পাব। এটা ভাবলেই কী রকম রোমাঞ্চকর অনুভূতি হচ্ছে। যেভাবেই হোক ম্যাচটা জিততে হবে। গোল করতে হবে। আমি জানি আমার দিকে সবাই গোলের জন্য তাকিয়ে থাকবে। আমার তরফ থেকে চেষ্টার কোনও ক্রটি থাকবে না।“
ফিজিতে জাতীয় দলের হয়ে খেলে আসার পর অনুশীলনে আরও ঝকঝকে এটিকে এমবি-র তারকা ফুটবলার। জনি কাউকো, প্রীতম কোটাল, শুভাশিস বসুদের সঙ্গে ঘন্টা দেড়েক সমানতালে ফিজিক্যাল কন্ডিশনিং করলেন রয়। এরপর পজেশনাল ফুটবলের পাঠ নিলেন কোচ জুয়ান ফেরান্দোর কাছে। রয়ের ফিটনেস দেখে খুশি ফেরান্দোও। শারীরিক সক্ষমতার অনুশীলনের পর সরাসরি রয় কৃষ্ণাকে ওয়ান স্ট্রাইকারে রেখে রক্ষণ ও মাঝমাঠের মধ্যে সমঝোতা বাড়ানোর প্রস্তুতি সারলেন স্প্যানিশ কোচ।
আরও পড়ুন: মোহনবাগান ক্লাব তাঁবুর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী, ফেসবুকে বড় আপডেট সহ সভাপতি কুনালের
যুবভারতীতে সন্ধ্যায় এটিকে মোহনবাগানের অনুশীলনের পর রয় কৃষ্ণ বললেন, "জানিনা, যুবভারতীতে ১২ এপ্রিল আমাদের প্রতিপক্ষ কোন দল হবে। তবে যেই হোক সে হবে আমাদের অচেনা। ফলে ম্যাচটা কঠিন হতে চলেছে। অচেনা প্রতিপক্ষকে সবসময় সমীহ করতে হয়। জেতার জন্য আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে হবে। স্ট্রাইকারদের কাছ থেকে সবাই গোল চায়। আমি সেরাটা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামতে চাই। জানি, যুবভারতীতে প্রথম ম্যাচে গোল করতে পারলে সেটা আমার কেরিয়ারের দারুণ একটা ঘটনা হয়ে থাকবে।“
সবুজ মেরুণ জনতার হার্টথ্রব রয় কৃষ্ণা এরপর যোগ করেন, "প্রায় সব ফুটবলার প্রস্ততি শিবিরে এসে গিয়েছে। আমাদের দলও কন্ডিশনে আছে দেখলাম। এ এফ সিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়াই লক্ষ্য থাকবে। তার আগে গ্রুপ লিগের বাধা টপকাতে হবে। তারও আগে প্রাক পর্বের দুটো ম্যাচ জিততেই হবে। ম্যাচ ধরে ধরে এগোনোই লক্ষ্য থাকবে আমাদের।"