Australia vs India: বর্ডার-গাভাসকার ট্রফি সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার পরাজয়ের সঙ্গে আলোড়ন ফেলেছিল অজি দলের অন্যতম স্তম্ভ জোশ হ্যাজেলউডের মন্তব্য। তিনি ব্যর্থতার জন্য কার্যত ব্যাটারদের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। যথারীতি পার্থ টেস্টের অন্যতম সফল বোলার হ্যাজলউডের সেই মন্তব্য আলোড়ন ফেলেছিল ক্রীড়ামহলে। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছিলেন, সিরিজ হারের গন্ধেই অস্ট্রেলিয়া শিবিরের বিভাজন সামনে চলে এসেছে। শুক্রবারই শুরু হতে চলেছে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অ্যাডিলেড টেস্ট। মধ্যে অনেকটা দিন কেটেছে। এতদিনেও হ্যাজলউডের মন্তব্যের রেশ কমেনি। তার জেরে এবার মুখ খুলতে হল স্বয়ং অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে। তিনি বৃহস্পতিবার বলেছেন, 'ওই মন্তব্য নিয়ে স্রেফ সংবাদমাধ্যমের হেডিং তৈরি করার চেষ্টা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া দলে কোনও বিভাজন নেই।'
অ্যাডিলেড ওভালে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হওয়ার আগে বৃহস্পতিবার রীতি মেনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও প্যাট কামিন্স। সেখানেই কামিন্সের কাছে গণমাধ্যম অস্ট্রেলিয়া দলের মধ্যে বিভাজনের বা অভ্যন্তরীণ উত্তেজনার খবর জানতে চেয়েছিল। তার জেরেই কামিন্স বলেন, 'যে বিভাজনের কথা বলা হচ্ছে, তা ১০০ শতাংশ ভুল খবর।' দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব রীতিমতো শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত চাপা দিয়ে কামিন্স বলেন, 'আমাদের দলটা দারুণ। কিছু ধারাভাষ্যকার ১০০ শতাংশ ভুল বলেছেন। আমরা সবসময় খেলার জন্য তৈরি। একে অপরের পাশে থাকি। দলের মধ্যে পরস্পরের প্রতি গভীর সহানুভূতি রয়েছে।'
এই বিতর্কের যাবতীয় দায় ধারাভাষ্যকার তথা প্রাক্তন খেলোয়াড়দের ঘাড়ে চাপিয়ে কামিন্স বলেন, 'যখন সবকিছু ঠিকঠাক থাকে না, তখন কিছু লোক সমর্থন করে। কিছু লোক আবার খবর তৈরি করার জন্য শিরোনাম বানায়। আমরা এগুলোকে উপেক্ষা করারই চেষ্টা করি। আমরা কেবল নিজেদের খেলা নিয়েই থাকতে ভালোবাসি।'
অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটাররা ভারতীয় ব্যাটারদের তোলা রানকে শেষ ইনিংসে ধরে ফেলতে পারবে কি না, সেনিয়ে হ্যাজলউডকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জবাবে হ্যাজলউড বলেন, 'এই ব্যাপারগুলো আপনাদের কোনও ব্যাটারকেই জিজ্ঞাসা করা উচিত। আমরা কেবল এই চাপটা কিছুটা কমানোর চেষ্টা করেছি। আমি এখন আগামী টেস্টের দিকেই তাকিয়ে আছি।'
এই মন্তব্যের পর অস্ট্রেলিয়া পার্থ টেস্ট শেষ পর্যন্ত হেরে যায়। কিন্তু, তারপরই অস্ট্রেলিয়া দলের তরফে জানানো হয় যে হ্যাজলউড আঘাত পেয়েছেন। তাঁকে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে পাওয়া যাবে না। এটা আসলে কোনও ইনজুরি নাকি হ্যাজলউডের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, তা নিয়ে অবশ্য বিতর্কের ঝড় উঠেছে। প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় অ্যাডাম গিলক্রিস্ট তো সোজাসাপটা বলেই দিয়েছেন, 'আমার মনে হচ্ছে যে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে বিভাজন ঘটেছে। সত্যি, হয়েছে কি না জানি না। হয়তো একটু বেশিই ভাবছি।'
আরও পড়ুন- ভোরে ঘুম ভেঙে দেখতে হবে না ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট! পিঙ্ক বলের যুদ্ধ উপভোগ করতে টিভি খুলবেন কখন
এই বিতর্কে ঢুকে পড়েন, ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভনও। তিনি হ্যাজলউডের মন্তব্য শুনে বলেন, 'আমি স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছি যে, এই মন্তব্যে রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছি। জোশ হ্যাজলউড একজন দুর্দান্ত বোলার। একটি দুর্দান্ত দলের সদস্য। কিন্তু, আমি কখনও কোনও অস্ট্রেলিয়ানকে ব্যাটার এবং বোলারদের মধ্যে বিভাজন করতে শুনিনি।'
Pat Cummins refutes experts claim: গাভাসকারের দাবিই ঠিক, অস্ট্রেলিয়া দলে কি ভাঙন! মুখ খুলে জবাব দিলেন নেতা কামিন্স
Border Gavaskar Trophy: অস্ট্রেলিয়া দলে ভাঙন নিয়ে মুখ খুললেন ক্যাপ্টেন কামিন্স, রহস্য আরও জোরালো। 'চোটের জন্য' দ্বিতীয় টেস্টে বাদ বিতর্কের স্রষ্টা জোশ হ্যাজলউড।
Border Gavaskar Trophy: অস্ট্রেলিয়া দলে ভাঙন নিয়ে মুখ খুললেন ক্যাপ্টেন কামিন্স, রহস্য আরও জোরালো। 'চোটের জন্য' দ্বিতীয় টেস্টে বাদ বিতর্কের স্রষ্টা জোশ হ্যাজলউড।
Pat Cummins-Josh Hazlewood: বর্ডার-গাভাসকার ট্রফির দুই পাশে দুই দলের অধিনায়ক, বামদিক থেকে ভারতের রোহিত শর্মা ও অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স। (ছবি: প্যাট কামিন্স টুইটার)
Australia vs India: বর্ডার-গাভাসকার ট্রফি সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার পরাজয়ের সঙ্গে আলোড়ন ফেলেছিল অজি দলের অন্যতম স্তম্ভ জোশ হ্যাজেলউডের মন্তব্য। তিনি ব্যর্থতার জন্য কার্যত ব্যাটারদের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। যথারীতি পার্থ টেস্টের অন্যতম সফল বোলার হ্যাজলউডের সেই মন্তব্য আলোড়ন ফেলেছিল ক্রীড়ামহলে। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছিলেন, সিরিজ হারের গন্ধেই অস্ট্রেলিয়া শিবিরের বিভাজন সামনে চলে এসেছে। শুক্রবারই শুরু হতে চলেছে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অ্যাডিলেড টেস্ট। মধ্যে অনেকটা দিন কেটেছে। এতদিনেও হ্যাজলউডের মন্তব্যের রেশ কমেনি। তার জেরে এবার মুখ খুলতে হল স্বয়ং অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে। তিনি বৃহস্পতিবার বলেছেন, 'ওই মন্তব্য নিয়ে স্রেফ সংবাদমাধ্যমের হেডিং তৈরি করার চেষ্টা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া দলে কোনও বিভাজন নেই।'
অ্যাডিলেড ওভালে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হওয়ার আগে বৃহস্পতিবার রীতি মেনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও প্যাট কামিন্স। সেখানেই কামিন্সের কাছে গণমাধ্যম অস্ট্রেলিয়া দলের মধ্যে বিভাজনের বা অভ্যন্তরীণ উত্তেজনার খবর জানতে চেয়েছিল। তার জেরেই কামিন্স বলেন, 'যে বিভাজনের কথা বলা হচ্ছে, তা ১০০ শতাংশ ভুল খবর।' দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব রীতিমতো শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত চাপা দিয়ে কামিন্স বলেন, 'আমাদের দলটা দারুণ। কিছু ধারাভাষ্যকার ১০০ শতাংশ ভুল বলেছেন। আমরা সবসময় খেলার জন্য তৈরি। একে অপরের পাশে থাকি। দলের মধ্যে পরস্পরের প্রতি গভীর সহানুভূতি রয়েছে।'
এই বিতর্কের যাবতীয় দায় ধারাভাষ্যকার তথা প্রাক্তন খেলোয়াড়দের ঘাড়ে চাপিয়ে কামিন্স বলেন, 'যখন সবকিছু ঠিকঠাক থাকে না, তখন কিছু লোক সমর্থন করে। কিছু লোক আবার খবর তৈরি করার জন্য শিরোনাম বানায়। আমরা এগুলোকে উপেক্ষা করারই চেষ্টা করি। আমরা কেবল নিজেদের খেলা নিয়েই থাকতে ভালোবাসি।'
অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটাররা ভারতীয় ব্যাটারদের তোলা রানকে শেষ ইনিংসে ধরে ফেলতে পারবে কি না, সেনিয়ে হ্যাজলউডকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জবাবে হ্যাজলউড বলেন, 'এই ব্যাপারগুলো আপনাদের কোনও ব্যাটারকেই জিজ্ঞাসা করা উচিত। আমরা কেবল এই চাপটা কিছুটা কমানোর চেষ্টা করেছি। আমি এখন আগামী টেস্টের দিকেই তাকিয়ে আছি।'
এই মন্তব্যের পর অস্ট্রেলিয়া পার্থ টেস্ট শেষ পর্যন্ত হেরে যায়। কিন্তু, তারপরই অস্ট্রেলিয়া দলের তরফে জানানো হয় যে হ্যাজলউড আঘাত পেয়েছেন। তাঁকে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে পাওয়া যাবে না। এটা আসলে কোনও ইনজুরি নাকি হ্যাজলউডের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, তা নিয়ে অবশ্য বিতর্কের ঝড় উঠেছে। প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় অ্যাডাম গিলক্রিস্ট তো সোজাসাপটা বলেই দিয়েছেন, 'আমার মনে হচ্ছে যে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে বিভাজন ঘটেছে। সত্যি, হয়েছে কি না জানি না। হয়তো একটু বেশিই ভাবছি।'
আরও পড়ুন- ভোরে ঘুম ভেঙে দেখতে হবে না ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট! পিঙ্ক বলের যুদ্ধ উপভোগ করতে টিভি খুলবেন কখন
এই বিতর্কে ঢুকে পড়েন, ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভনও। তিনি হ্যাজলউডের মন্তব্য শুনে বলেন, 'আমি স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছি যে, এই মন্তব্যে রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছি। জোশ হ্যাজলউড একজন দুর্দান্ত বোলার। একটি দুর্দান্ত দলের সদস্য। কিন্তু, আমি কখনও কোনও অস্ট্রেলিয়ানকে ব্যাটার এবং বোলারদের মধ্যে বিভাজন করতে শুনিনি।'