Pat Cummins on Australia playing XI changes: পার্থ টেস্টে দল হেরেছে। তারপরও নিজের সহযোদ্ধাদের ওপর আস্থা রাখতে চান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ভারতের কাছে বর্ডার-গাভাসকার সিরিজের এই ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া ২৯৫ রানে হেরেছে।
তারপরও কামিন্স মনে করেন যে, তাঁর এই অস্ট্রেলীয় একাদশই সেরা। তিনি বলেন, 'আমরা যদি দলে বড় কোনও পরিবর্তন করি, তাহলে খুবই অবাক হব।' পার্থের অপটাস স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৪র্থ দিনেই পরাজয় মানতে বাধ্য হয়েছে কামিন্সের দল। পরের ম্যাচ হবে অ্যাডিলেডে।
সেই ম্যাচ হবে গোলাপী বলে। এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের মধ্যে মাত্র একজন হাফ সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন। আর দ্বিতীয় ইনিংসে তো ভারতীয় ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা কার্যত ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলেন। যার ফলে, ২০১৮ সালের পর অপটাস স্টেডিয়ামে ফের হারল অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন: নিলামে বাংলাদেশিদের ১ টাকাও দিল না কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি! অবিক্রিতই রয়ে গেলেন মুস্তাফিজুর-রিশাদরা
তারপরও দিনের খেলা শেষে কামিন্স বলেছেন, 'হ্যাঁ। আমি বলতে চাচ্ছি যে আমি নির্বাচক নই। কিন্তু, আমরা যদি দলে বড় কোনও পরিবর্তন করি, তাহলে খুব অবাকই হব। আমরা এই মরশুমে এর আগে তেমন টেস্ট খেলিনি। তাই সত্যিই আত্মবিশ্বাসী যে এই ১১ জনই সেরা খেলোয়াড়। হতে পারে, এই সপ্তাহটি আমাদের ছিল না। কিন্তু, তারপরও আমি আত্মবিশ্বাসী যে এই ১১ জনই সেরা।'
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে ভারত ২৯৫ রানে জয় পেয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এটাই ভারতের সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়। আর, সেটা সম্ভব হয়েছে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য। রবিবার এনিয়ে বারবার অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কামিন্সকে। পেসার জোস হ্যাজেলউড তো সরাসরি গোটা ঘটনায় ব্যাটারদের দিকে আঙুল তুলেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, সাংবাদিকদের আগে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের কাছে প্রশ্ন তোলা উচিত, রবিবার শেষ ৩০ মিনিটে কী করে অস্ট্রেলিয়া তিন উইকেট হারাল? প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান উইকেটরক্ষক-ব্যাটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট এই আকচাআকচি দেখে একে অস্ট্রেলিয়ান শিবিরে সম্ভাব্য 'বিভাজনের' লক্ষণ বলে দাবি করেছেন।
এই তথাকথিত 'বিভাজন' সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, কামিন্স বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, 'আমরা দল হিসেবে ঐক্যবদ্ধ। একে অপরের দেখাশোনা করি। এমন অনেক ম্যাচ আছে যেখানে ব্যাটাররা আমাদের কঠিন পরিস্থিতি থেকে টেনে তুলেছে। আবার, উলটোটাও হয়েছে। তাই, আমরা একজোট বলাটাই উচিত।
আমরা সত্যিই প্রতিবার ভালো খেলার চেষ্টা করি। আমরা এখনও বিশ্বের এক নম্বর দল। সেটা এই সপ্তাহেও বদলাবে না।' পার্থ টেস্টের ২য় এবং ৩য় ইনিংসে মারনাস লাবুসেনের হতাশাজনক পারফরম্যান্স নিয়ে সাংবাদিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করলেও তাঁকে আড়াল করেন কামিন্স।
বছর ৩০-এর লাবুসেন সম্পর্কে কামিন্স বলেন, 'মারনাসের সঙ্গে কথা বলব। ও কীভাবে আরও ভালো খেলতে পারে। সকলেই জানে যে, মারনাস নেটে কী ভীষণ পরিশ্রম করে। আমরা একসঙ্গে অনুশীলনের জন্য যথেষ্ট সময় হাতে পাইনি। মারনাস সব সময় নেটে কীভাবে উন্নতি করা যায়, তা খুঁজে বের করে। এই সপ্তাহে আমরা কোচদের সঙ্গেও কথা বলব। আরও ভালোভাবে কী করে খেলা যায়, তা জেনে নেব। সকলেই জানে যে, মারনাস একজন ক্লাসিক প্লেয়ার। ও যখন একবার খেলাটা ধরে নেয়, বিপক্ষের বোলাররা ওঁকে রীতিমতো সমীহ করে। সেসব সবাই জানে।'
তবে, কামিন্স স্বীকার করেছেন যে অস্ট্রেলিয়া প্রত্যাশামত খেলতে পারেনি। এই ব্যাপারে তিনি বলেন, 'আমরা ঠিকমতো খেলতে পারিনি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সামনে চারটি টেস্ট আছে। আমরা একনম্বরে আছি। সুতরাং, এখনই বলা যাবে না যে আমরা আগামী দিনে একনম্বর পজিশনে থাকব না।'