Sam Kontas slams century during India vs Australia prime minister's XI: অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী একাদশের ওপেনার স্যাম কোন্টাস রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে গোলাপি বলের একদিনের ম্যাচে ৯০ বলে সেঞ্চুরি করেছেন। ক্যানবেরার মানুকা ওভালে ১৯ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার ভারতীয় বোলারদের রীতিমতো নাস্তানাবুদ করে ছাড়েন। অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার-গাভাসকার ট্রফি সিরিজের স্কোয়াডে জায়গা পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন কোন্টাস। এই ব্যাপারে তাঁর লড়াই চলছে নাথান ম্যাকসুইনির সঙ্গে। নাথান ম্যাকসুইনি ও মারনাস ল্যাবুসচেন প্রথম টেস্ট ম্যাচে ভালো খেলতে পারেননি। এর মধ্যে ম্যাকসুইনি প্রথম টেস্ট ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১০ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ০ রান করেন।
মার্নাস লাবুসচেন অবশ্য গত দুই বছরে ভালো খেলেছেন। কিন্তু, ভারতের বিরুদ্ধে, পার্থ টেস্ট সিরিজে তিনি ৫২ বল খেলে মাত্র ২ রান করেছেন। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ৩.৮৪। যা অস্ট্রেলিয়ান প্রথমসারির ব্যাটারদের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে ধীরগতির পারফরম্যান্স। লাবুসচেনের জন্ম ২০০৫ সালের ২ অক্টোবর। তিনি একজন ডানহাতি ব্যাটার। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে লাবুসচেনকে বিরাট সম্ভাবনা হিসেবে দেখা হয়। তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটেও অসামান্য খেলেছেন। অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ স্কোয়াড এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়েও তিনি দুর্দান্ত খেলেছেন।
যাইহোক, ভারতের বিরুদ্ধে আসন্ন অ্যাডিলেড টেস্ট ম্যাচের জন্য ১৯ বছর বয়সি স্যাম কোন্টাসকে বেছে নেওয়া হলে, সেটা একটা চমকপ্রদ বাছাই হবে। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ)-এর হয়ে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে কোন্টাস জোড়া শতরান করেছেন। ১৯৯৩ সালে রিকি পন্টিংয়ের পর কনস্টাসই সর্বকনিষ্ঠ অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় হিসেবে শেফিল্ড শিল্ডে এই অসাধারণ পারফরম্যান্স করলেন।
কোন্টাসকে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ইংল্যান্ড সফরে অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলে রাখা হয়েছিল। যেখানে তিনি ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে খেলেছেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে, তাসমানিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটে কোন্টাসের অভিষেক হয়েছিল। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সিডনি থান্ডারের হয়ে তাঁর প্রথম পেশাদার ক্রিকেটে পা রাখা। সেই মাসের শেষের দিকে কনস্টাসকে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলে রাখা হয়। তিনি ১২১ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১০৮ রান করেছিলেন।