Mohammed Siraj fiery send off to Travis Head during Pink Ball Test: এডিলেড ওভালে যেভাবে ট্র্যাভিস হেডকে সেন্ড অফ করলেন সিরাজ। তা মোটেই প্রয়োজন ছিল না। একই ওভারে বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি হজম করে সিরাজ শেষমেশ ইয়র্কারে বোল্ড করেন সেঞ্চুরিয়নকে। তারপরেই সিরাজ বিশ্রী অঙ্গভঙ্গি করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে দেন। পাল্টা দেন ট্র্যাভিস হেডও। দৃষ্টি বিনিময় থেকে কথার স্লেজিং সব-ই ঘটে।
গাভাসকার অবশ্য অনভিপ্রেত এই বিতর্কে সিরাজের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। বলে দিচ্ছেন, "আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় বলব কোনও প্রয়োজন ছিল না। যাঁকে আউট করল, সে ইতিমধ্যেই ১৪০ করে ফেলেছিল। ৪-৫ রানে আউট হয়নি। তারপরেও যদি এরকম সেন্ড অফ দেওয়া হয় সেটা অযাচিত।"
সিরাজ হেডকে উত্তপ্ত সেন্ড অফ দেওয়াতে ক্ষেপে যায় দর্শকদের একাংশও। গাভাসকার এতে বিস্ময়ের কিছু দেখছেন না। স্টার স্পোর্টসে কমেন্ট্রি করার সময়ে লিটল মাস্টার বলেছেন, "কোনও সন্দেহ নেই যে সিরাজ এরপরে দর্শকদের টার্গেট হয়ে দাঁড়াল। ট্র্যাভিস হেড এখানকার স্থানীয় হিরো। একশো করে সমর্থকদের কাছে প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছিল সদ্য। সিরাজও যদি হেডকে অভিবাদন জানাত, তাহলে বরং দর্শকদের মনে জায়গা করে নিতে পারত। তার বদলে ও যা সেন্ড অফ দিল, তাতে এখন খলনায়ক হয়ে গেল।"
আরও পড়ুন: মাঠেই বসে পড়লেন বুমরা, ছুটল টিম ইন্ডিয়ার তিন সাপোর্ট স্টাফ! বুক ধড়ফড় করা ঘটনায় হইচই
হেড আউট হওয়ার পর সিরাজকে ক্রমাগত দর্শকরা বিদ্রুপ চালিয়ে গেলেন এডিলেড ওভালে। প্ৰথম দিন মার্নাস লাবুশেনের সঙ্গেও সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। লাবুশেন ক্রিজ থেকে সরে দাঁড়ালেও সিরাজ রান আপ থামিয়ে বল ছুঁড়ে দিয়েছিলেন।
নিজের একশো করার পথে বারবার ভাগ্যের সঙ্গ পেয়েছেন হেড। উইকেটকিপার এবং প্ৰথম স্লিপের মধ্যে ক্যাচ ফস্কে গিয়েছে। অশ্বিনের বলে টপ এজ লেগে উঠে যাওয়া বল সিরাজ তালুবন্দি করতে পারেননি হেডের ক্যাচ। অশ্বিনের বলে সিঙ্গল নিয়ে হেড শতরান পূর্ণ করে গ্যালারিতে থাকা স্ত্রী-কন্যাদের দিকে ইঙ্গিত করেন। হেলমেট ব্যাটের হ্যান্ডলে ঝুলিয়ে উদযাপনে মেতে ওঠেন ১০ বছর আগে প্রয়াত ফিল হিউজেসের স্মরণে।
হেড আউট হওয়ার পর দ্রুত অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়ে যায়। ৩৩৭ রানে অজিদের ইনিংস খতম হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার লিড হয় ১৫৭ রানে। হেডের ১৪০ এর পাশাপাশি লাবুশেন ৬৪ করেন।