AUS vs PAK 3rd ODI: মহম্মদ রিজওয়ান অধিনায়ক হতেই খেল দেখাতে শুরু করেছে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ায় ২২ বছরের খরা কাটাল পাকিস্তান দল। অস্ট্রেলিয়ায় তারা একদিনের সিরিজ জিতল। এর আগে পাকিস্তান ২০০২ সালে একদিনের সিরিজ অস্ট্রেলিয়ায় জিতেছিল। সেবার পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ছিলেন ওয়াকার ইউনুস। তাঁর নেতৃত্বে দল ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এবার একদিনের সিরিজে পাকিস্তান দুর্দান্ত খেলেছে। তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচে হেরে গেলেও পাকিস্তান বাকি দুটো ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মহম্মদ রিজওয়ান অধিনায়ক হওয়ার পর এই প্রথমবার পাকিস্তান সিরিজ জিতল। এর আগে ২০০২ সালে পাকিস্তান যখন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ জিতেছিল, সেই সময় অজিদের ক্যাপ্টেন ছিল রিকি পন্টিং। পাকিস্তানের কোচ জেসন গিলেপসিও সেই সিরিজে খেলেছিলেন। এবারের সিরিজ জয়ের কান্ডারি পাকিস্তানের বোলাররা। পাকিস্তানের পেসাররা ২৬ উইকেট নিয়েছেন। হারিস রউফ নিয়েছেন ১০ উইকেট। শাহিন আফ্রিদি নিয়েছেন ৮ উইকেট। নাসিম শাহ নিয়েছেন ৫ উইকেট। আর মহম্মদ হসনেন ৩ উইকেট নিয়েছেন।
এবারের সিরিজে মেলবোর্নে প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেটে জিতেছিল। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ২০৩ রান করেছিল। অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান ৯ উইকেটে জিতেছে। অস্ট্রেলিয়া মাত্র ১৬৩ রানেই আউট হয়ে গিয়েছিল। পাকিস্তান মাত্র এক উইকেট হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নিয়েছিল। পার্থ-এ তৃতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ১৪০ রানে আউট হয়ে যায়।
অস্ট্রেলিয়া দলের অর্ধেক খেলোয়াড় মাত্র ৭৯ রানে প্যাভেলিয়নে ফিরে যান। বাকিরা ১৮-র বেশি ওভার খেলে মাত্র ১৪০ রানেই আউট হয়ে যান। শুরুটা অবশ্য অস্ট্রেলিয়া ভালোই করেছিল। মাত্র দুই ওভারেই ১৮ রান তুলেছিল। কিন্তু, জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ককে মাত্র ৭ রানেই নাসিম শাহ ফিরিয়ে দেন। হার্ডি তিন নম্বরে নেমে কিছু ভালো শট খেললেও শাহিন আফ্রিদি তাঁকে ফিরিয়ে দেন। যার জেরে প্রথম ১০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর দাড়ায় ২ উইকেটে ৫৪। কিন্তু, নাসিম শাহর বোলিং ম্যাচের রং বদলে দেয়।
আরও পড়ুন- মাত্র ৩ বছরেই কীভাবে সেরার সিংহাসনে বাঙালি! কলকাতাকে গর্বিত করে কীভাবে বিশ্বমঞ্চে বাংলার অনীশ
জোশ ইংলিস পুল করতে গিয়ে আউট হন। ম্যাথু শান্টে ডিপে ক্যাচ দেন। এর মধ্যেই কুপর কোনেলির চোখের চশমায় বল লাগে। তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়। তিনি আর মাঠে ফেরেননি। রউফ গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন। যার ফলে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৭৯। এই নিয়ে তিনটে ম্যাচেই ম্যাক্সওয়েল রউফের বলে আউট হলেন।
মার্ক স্টোইনিস ২৫ বলে করেন ৮ রান। যাইহোক অস্ট্রেলিয়া কোনওমতে শতরানের গণ্ডি টপকায়। এই পরিস্থিতিতে অ্যাডাম জাম্পা ও সিন অ্যাওয়ান্ট অস্ট্রেলিয়ার স্কোর সামলান। তার মধ্যেই শাহিন শাহ তিন বলে দুই উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করে দেন। পাকিস্তানের হয়ে আইয়ুব আর আবদুল্লাহ দুর্দান্ত শুরু করেন। দু'জনে মিলে করেন ৮৪ রান। ১৮তম ওভারে দু'জনেই আউট হয়ে যান। আয়ুব করেছেন ৪২। আর, আবদুল্লাহ করেছেন ৩৭ রান। লান্স দু'জনের উইকেটই নিয়েছেন।