অস্ট্রেলিয়ায় পাকিস্তান জেতে না! এমন একটা প্রবাদ ক্রিকেট বিশ্বে চালু রয়েছে। সেই প্রবাদ বদলে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু কোথায় কী! ফের একবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে ইনিংসে হার হজম করতে হল পাকিস্তানকে। প্রথম টেস্টের পরে অ্যাডিলেডেও নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ।
তৃতীয় দিন ফলোঅন হজম করার পরে ব্যাট করতে নেমেছিল। দিনের শেষে পাকিস্তান ড্রেসিংরুমে ফিরেছিল ২ উইকেট হারিয়ে। স্কোরবোর্ডে ৩৯ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়েছিল। চতুর্থ দিন পুরোটা টিকতে পারল না পাক ক্রিকেটাররা। ২৩৯ রানেই গুটিয়ে গেল পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার জয় এল ইনিংস ও ৪৮ রানের ব্যবধানে।
অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের অন্যতম নায়ক স্পিনার নাথান লায়ন। প্রথম টেস্ট ও দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটিয়েছিলেন স্টার্ক, হ্যাজেলউডরা। তবে লায়ন দ্বিতীয় ইনিংসের নায়ক। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এর আগে কখনও টেস্টে পাঁচ উইকেট পাননি। সেই আক্ষেপ পূরণ করে অ্যাডিলেডে লায়ন একাই নিলেন ৫ উইকেট। অ্যাডিলেড ওভালেই আগে কিউরেটর হিসেবে কাজ করতে লায়ন। নিজের চেনা পিচে প্রতিপক্ষের ইনিংসকে একাই শেষ করে দিলেন তিনি। ৩২ বছরের তারকা স্পিনারের এই শুধু অ্যাডিলেডেই ৫০টি টেস্ট উইকেট হয়ে গেল।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঠিক আগের বলেই শাহিন আফ্রিদিকে আউট করে নিজের পঞ্চম শিকার দখল করেন লায়ন। পাকিস্তান বিরতিতে ছিল ২২৯-৮। বাকি দুই উইকেট হ্যাজেলউড তৃতীয় সেশনের শুরুতেই তুলে নেন। হ্যাজেলউডও ৩ উইকেট দখল করে ফেললেন সবমিলিয়ে।
প্রথমে ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্নারের ট্রিপল সেঞ্চুরির উপরে ভর করে স্কোরবোর্ডে ৫৮৯ তুলে ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ৩০২ করে। তারপরে দ্বিতীয় ইনিংসে এই বিপর্যয়। ওয়ার্নারের পাশাপাশি ব্যাট হাতে সফল মার্নাস লাবুশানেও। তিনিও পরপর দুটো শতরান হাকালেন।
দুরন্ত ত্রিশতরানের সুবাদে ম্যাচের সেরা ওয়ার্নার।
Read the full article in ENGLISH