জয় যে নিশ্চিত তা তৃতীয় দিনেই নিশ্চিত করে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ দিনে লিয়নের ৪ উইকেটে ভর করে দ্বিতীয় টেস্টে ২৪৭ রানের বিশাল ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া। সেই সঙ্গে সিরিজও পকেটে পুরল। জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে তুলতে হত ৪৮৮ রানের বিশাল টার্গেট। সেই রান তাড়া করতে নেমে কিউয়িরা ২৪০ রানেই গুটিয়ে গেল।
মেলবোর্নে আধিপত্য নিয়ে জয়ের পরে অস্ট্রেলিয়া তাদের পড়শি দেশের বিরুদ্ধে ২৫ বছর অপরাজিত থাকল। পার্থে দিন রাতের টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ২৯৬ রানে হারিয়েছিল অজিরা। ইংল্যান্ডে অ্যাসেজ জয়ের পরে এই নিয়ে টানা চারটে টেস্ট জিতল অস্ট্রেলিয়া। সিডনিতে শেষ ম্যাচে নিয়মরক্ষার টেস্টে নামতে হবে এবার দুই দলকে।
টিম পেইন দুরন্ত জয়ের পরে জানিয়েছেন, "টসে হারার পর থেকে যেভাবে আমরা খেলেছি গোটা টেস্ট জুড়ে, সেটা অবিশ্বাস্য ছিল। কয়েকজনের পারফরম্যান্সের উপরে ভরসা করে থাকার পরে দলের প্রত্যেকেই অবদান রাখছে। দায়িত্ব ভাগ করে নিচ্ছে।"
অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের হয়ে হৃদয় জিতলেন ব্যাটসম্যান টম ব্লান্ডেল। কিউয়ি তারকার দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরিতেই অস্ট্রেলিয়ানদের জয় বিলম্বিত হয়। তবে ব্লান্ডেল বাদে নিউজিল্যান্ডের বাকি ব্যাটসম্যানরা প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।
সকালের সেশনে এদিন জেমস প্যাটিনসন নয় বলের মধ্যে তিন উইকেট দখল করে ফেলেছিলেন। তবে এরপরে চার বিরতিতে নিউজিল্যান্ড ১৩১/৪ তুলে ফেলেছিল। তবে তারপরে লায়ন ফেরান বিজে ওয়াটলিংকে (২২)। এরপরে অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম লায়নের বলেই ফ্লিক করতে গিয়ে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন মাত্র ৯ রান করে। হাত ভেঙে যাওয়ার কারণে ব্য়াট করতে নামেননি ট্রেন্ট বোল্ট। এরপরে হাস্যকরভাবে টিম সাউদি রান আউট হয়ে যাওয়ার পরে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ১ উইকেট। পার্টটাইম লেগস্পিনার মার্নাস লাবুশানে ১২১ রানে ব্লান্ডেলকে আউট করে কিউয়ি ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে দেন।
Read the full article in ENGLISH