Australian Open, Rohan Bopanna: রোহান বোপান্না এবং ম্যাথু এবডেন শনিবার ইতিহাস তৈরি করলেন। তাঁরা সিমোন বোলেলি এবং আন্দ্রেয়া ভাভাসোরিকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ডাবলস চ্যাম্পিয়ন হলেন। ভারতীয় এবং অস্ট্রেলিয়ান জুটি এই ম্যাচ জিতে নিল ৭-৬ (০), ৭-৫ ব্যবধানে। মোট ১ ঘণ্টা ৩৯ মিনিটের ম্যাচে স্ট্রেট সেটে বোপান্নারা পরাজিত করলেন ইতালীয় জুটি বোলেলি-ভাভাসোরিকে।
২০১৭ সালে মিক্সড ডাবলসে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতলেও পুরুষদের ডাবলসে এতদিন বোপান্নার গ্র্যান্ড স্ল্যাম ছিল অধরাই। ২০১৩ এবং ২০২৩ সালে দু'বার তিনি পুরুষদের ডাবলসে ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠলেও জয় ছিল অধরাই। এবার সেই খেতাবও এসে যাওয়ায় পুরুষদের ডাবলসে গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা জেতায় বোপান্না হলেন তৃতীয় ভারতীয়।
শনিবারের ফাইনালের আগে বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ডাবলসের সেমিফাইনাল খেলেন বোপান্নারা। সেমিফাইনালে বোপান্না ও তাঁর অস্ট্রেলিয়ান সঙ্গী এবডেন মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে চিনের ঝাং ঝিজেন ও চেক প্রজাতন্ত্রের টমাস মাচাককে ৬-৩, ৩-৬, ৭-৬ (১০-৭) ব্যবধানে হারিয়েছিলেন। ৪৩ বছর বয়সি বোপান্না পুরুষদের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতায়, তিনিই হলেন টেনিস দুনিয়ার সবচেয়ে বয়স্ক গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন। তিনি ভাঙলেন জিন-জুলিয়েন রোজারের রেকর্ড। রোজার ৪০ বছর বয়সে মার্সেলো আরেভোলার সঙ্গে ২০২২ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনে পুরুষদের ডাবলস চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন।
ম্যাচে দ্বিতীয় সেটের একাদশ গেমে আসে ব্রেক পয়েন্ট। 'লাভ' গেমে ইতালীয় জুটির সার্ভিস ব্রেক করে দ্বিতীয় সেটে ৬-৫ ব্যবধানে এগিয়ে যান রোহন বোপান্নারা। এদিন ম্যাচের পর বোপান্নাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতীয় টেনিস সুন্দরী সানিয়া মির্জা। তিনি এই টুর্নামেন্টে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছিলেন। সানিয়া মির্জা এক্স বার্তায় লেখেন, 'খুব গর্বিত রো। কেউ এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতে পারে না।'
ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বোপান্না বলেন, 'সবাই এখন জেনে গিয়েছে যে আমার ৪৩ বছর বয়স। তার মানে, সবে ৪৩ ধাপ পেরিয়েছি। এবার ৪৪ ধাপ শুরু করব।' বোপান্নার স্ত্রী, মেয়ে, শ্বশুর আর শাশুড়িও এদিন গ্যালারিতে ছিলেন। সেকথা জানিয়ে বোপান্না বলেন, 'আমার শ্বশুর-শাশুড়ি যখন শেষবার খেলা দেখতে এসেছিলেন, তখন আমি মিক্সড ডাবলস জিতেছিলাম। এবার পুরুষ ডাবলস জিতলাম। জানি না, কেন ওঁরা বারবার আমার খেলা দেখতে আসেন না।'
আরও পড়ুন- প্ৰথম দিন থেকেই বল ঘুরছে! ভারতীয় পিচ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ ইংরেজ তারকার, তুঙ্গে বিতর্ক
একইসঙ্গে তিনি বলেন, '২০১৯-এ আমি পায়ের চোটে খুব ভুগেছিলাম। পাঁচ মাস একটাও ম্যাচ জিতিনি। ইঞ্জেকশন নিয়ে খেলতে হচ্ছিল। তখন অবসর নেওয়ার কথা ভাবছিলাম। তবে লড়াইটা ছাড়িনি। আমি, সবাইকেই একটাই বার্তা দেব, লড়াই ছেড় না। পরিশ্রমের দাম কোনও না-কোনও সময় পাবেই।'