বিশ্বক্রিকেটের অন্যতম ত্রাস সৃষ্টিকারী বোলার জেমস প্যাটিনসন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য মাত্র ৩১ বছরেই ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তারকা স্পিডস্টার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেও রাজ্যস্তরের ক্রিকেট এবং উঠতি প্রজন্মের পেসারদের সাহায্য করার কাজে নিযুক্ত থাকবেন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২১টি টেস্ট, ১৫টি একদিনের ম্যাচ এবং ৪টে টি২০ ম্যাচ খেলেছেন প্যাটিনসন। টেস্টে ২৬.৩৩ গড়ে ৮১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ভিক্টোরিয়ার হয়ে ৭৬টি প্ৰথম শ্রেণির ম্যাচে প্যাটিনসন ২২.৫২ গড়ে ৩০২টি উইকেট নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারত কী করে বিশ্বকাপে ফেভারিট! কড়া মন্তব্যে কোহলিদের চরম অপমান ভনের
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০১১-য় প্ৰথম টেস্ট খেলেন জাতীয় দলের জার্সিতে। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭ রানের বিনিময়ে ৫ শিকার করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের আবির্ভাব ঘোষণা করেন। সেই ম্যাচে প্যাটিনসনের বোলিং দাপটে অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটে জয় পায়। দুই টেস্টের সিরিজে ১৪ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরাও ঘোষিত হন তিনি।
এরপরে ভারতের বিরুদ্ধে মেলবোর্নে ৬ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন। কিছুদিন চোট আঘাতে জাতীয় দলের বাইরে কাটানোর পরে প্যাটিনসন ফিরেই ভারতের বিরুদ্ধে চিপকে পাঁচ উইকেট দখল করেন। সেই প্রথমবার চিপকে প্রথম কোনও অজি পেসার পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন।
আরও পড়ুন: সৌরভকে রাগিয়ে চরম শিক্ষা দেন শেওয়াগ! তারকার জন্মদিনে ফাঁস করলেন মহারাজ স্বয়ং
২০১৫-য় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফের একবার প্যাটিনসন ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করেন। ২৬ রানের বিনিময়ে প্যাটিনসন আউট করেন ক্যারিবীয় পাঁচ ব্যাটসম্যানকে। সেটাই তারকার টেস্টে সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। দুরন্তভাবে বারবার নিজেকে মেলে ধরলেও প্যাটিনসনের সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় ক্রমাগত চোট আঘাত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে মারকাটারি পারফর্ম করার পরে আরও ৫-৬ টেস্ট খেলেন জাতীয় দলের হয়ে।
তবে এরপরে একাধিক চোট আঘাতে থমকে যায় কেরিয়ার। পিঠে অস্ত্রোপচারও করতে হয়ে অজি স্পিডস্টারকে। তারপরে আর সেরা ফর্মে পাওয়া যায়নি তারকাকে। শেষ পর্যন্ত যে দলের বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক ঘটান, সেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই টেস্টে শেষ ম্যাচ খেলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন