Australia vs England Semi Final Highlights: ফাইনালে ওঠার জন্য় ইংল্যান্ডের টার্গেট ছিল ২২৪। অস্ট্রেলিয়া ভালভাবেই জানে যে, বিশ্বমানের দলের সামনে এটা কোনও টার্গেটই নয়। অসাধারণ বোলিং ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ফাইনালে যাওয়ার কোনও রাস্তাই ছিল না। সেটা তাঁরা করতে পারেননি। ইংল্যান্ড বোলিংয়ের মতো ব্য়াটিংয়েও তাঁদের আধিপত্য় দেখাল। সেমিতে অস্ট্রেলিয়াকে আট উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠল তারা। আগামী রবিবার লর্ডসে নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে শিরোপা নির্ধারণকারী ম্য়াচে নামবে তারা।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের পরেই শুরু হচ্ছে অ্যাসেজ। তার আগেই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের সেমিফাইনালের দ্বৈরথ বিশ্বকাপে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বৃষ্টির আশঙ্কা ছিল এজবাস্টনে। তবে সেই আশঙ্কাকে তুড়ি মেরে দুই দলই শেষ চারের লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুত। অস্ট্রেলিয়ার শেষ চারে ওঠা মসৃণ হলেও, ইংল্যান্ডকে বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে। শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, পাকিস্তানকে পেরিয়ে শেষ দু-ম্যাচে দুর্ধর্ষ জয় সেমিফাইনালের টিকিট এনে দিয়েছে ইংরেজদের। শুরুর দিকে ইংল্যান্ড টানা জিততে থাকলেও, মাঝে বেশ কয়েকটি ম্যাচে হোঁটচ খেয়ে সেমিফাইনালের সমীকরণ কঠিন করে ফেলেছিল মর্গ্যানের দল।
AUS vs ENG Live Score: Australia vs England Highlights
অস্ট্রেলিয়াকে আট উইতকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড
ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ২১ ওভারে আর ২৭ রান। ২৯ ওভারে ১৯৭ রান তুলেছে। বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই মিরাকেল না-হলে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ অভিযান আর কিছুক্ষণের মধ্য়েই শেষ হতে চলেছে। রবিবাসরীয় লর্ডসে ফাইনাল খেলতে চলেছে ইংল্য়ান্ড ও নিউজিল্য়ান্ড।
জনি বেয়ারস্টোকে ফেরানোর সঙ্গেই চলতি বিশ্বকাপে ২৭ তম উইকেট চলে আসল স্টার্কের। এর আগে বিশ্বকাপের একক আসরে কোনও বোলার এত বেশি উইকেট নিতে পারেননি। বিশ্বকাপে নতুন বিশ্বরেকর্ড করলেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার। (অন্যদিকে ২৩ ওভার শেষে ইংল্যান্ড ২ উইকেট হারিয়ে তুলল ১৫৮ রান। ২৭ ওভারে প্রয়োজন আর ৬৬ রান)
বিতর্কিত আউট রয়! প্য়াট কামিন্সের বল পুল করতে গিয়ে অ্যালেক্স ক্য়ারির হাতে পৌঁছে যায়। সমবেত আউটের আবেদনে খানিক ভেবেই আউটের সিদ্ধান্ত দিয়ে দেন শ্রীলঙ্কার আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। কিন্তু রয় মেনে নিতে পারেননি এই সিদ্ধান্ত। তিনি ধর্মসেনা ও অপর অনফিল্ড আম্পায়ার মারায়াস ইরাসমাসের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই মাঠ ছাড়েন। পরে হটস্পট আর স্নিকোমিটারও দেখাল যে রয় আউট ছিলেন না। ২১ ওভারে ইংল্যান্ড ১৫১ রান তুলল। রুটের সঙ্গে এখন ক্রিজে ইয়ন মর্গ্য়ান। ২৯ ওভারে তাদের প্রয়োজন ৭৩ রান।
উইকেটের দেখা পেল অস্ট্রেলিয়া, স্টার্কের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন বেয়ারস্টো (৪৩ বলে ৩৪)। রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন না তিনি। ১৮ ওভারে ইংল্যান্ড তুলল ১৩৬ রান। ১২৪ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ করে দিয়েই ফিরলেন বেয়ারস্টো। ৩২ ওভারে আর ৮৮ রান প্রয়োজন। অন্য়দিকে জো রুট মাত্র চার বল খেলে তিনটে চার মেরে ফেললেন।
স্মিথের এক ওভারে পরপর তিনটি ছয় মারলেন রয়। স্মিথকে আনিয়ে উইকেট তুলে নিতে চেয়েছিলেন ফিঞ্চ। কিন্তু রয়ের সৌজন্য়ে ইংল্যান্ড এই ওভারে তুলে নিল ২১ রান। ১৬ ওভারে ইংল্যান্ড তুলল ১১৬ রান। অজিদের আত্মবিশ্বাস আজ মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছেন রয়।
দেখতে দেখতে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেললেন জেসন রয়। অসাধারণ ছন্দেই ব্য়াট করছেন তিনি। ১৫ ওভারে ইংল্য়ান্ড তুলে ফেলল ৯৫ রান। এখনও পর্যন্ত উইকেটের দেখা পেল না অস্ট্রেলিয়া। উইকেটের খোঁজে মরিয়া ফি়ঞ্চ অ্য়ান্ড কোং। অজিদের শরীরি ভাষাই বলে দিচ্ছে এই ম্য়াচ তাদের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।
১০ ওভারে ৫০ রান তুলে ফেলল ইংল্য়ান্ড। ৪০ ওভারে ১৭৪ রান প্রয়োজন ইংরেজদের। ২৭ বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালে যাওয়ার হাতছানি তাদের সামনে। শেষবার ১৯৯২ সালে ইংল্য়ান্ড ক্রিকেটের শো-পিস ইভেন্টের ফাইনাল খেলেছিল তারা। জেসন রয় আর জনি বেয়ারস্টোকে দেখে মনে হচ্ছে তাঁর দলকে ফাইনালে তুলেই মাঠ ছাড়বেন।
রয়-বেয়ারস্টো রয়েছেন দুরন্ত ছন্দে। সাত ওভার ব্য়াট করে ৩৩ রান তুলে ফেললেন জুটি বেঁধে। তাঁদের মিলিত প্রয়াসে চারটি চার ও একটি ছয়ও এসে গিয়েছে। অজি বোলাররা এখনও সেই ছন্দটা খুঁজে পাননি। এই দুই ব্য়াটসম্য়ান কিন্তু ক্ষমতা রাখেন অনায়াসে জুটি বেঁধে ১৫০-এর ওপর রান তুলে দেওয়ার।
ফাইনালে ওঠার জন্য় ইংল্যান্ডের টার্গেট ২২৪। অস্ট্রেলিয়া ভালভাবেই জানে যে, বিশ্বমানের দলের সামনে এটা কোনও টার্গেটই নয়। কিন্তু ফিঞ্চ চাইবেন তাঁর পেস ব্রিগেডের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে ইংল্যান্ডকে এই রানের মধ্য়েই বেঁধে দেওয়ার। জেসন বেহেরেনডর্ফ আর মিচেল স্টার্কের ওপেনিং স্পেল চলছে। ইংল্যান্ডের হয়ে রান তাড়া করতে নেমছেন জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। ২ ওভার ব্য়াট করে তাঁরা তুললেন ৬ রান।
অস্ট্রেলিয়া এই রান ডিফেন্ড করতে পারবে, সেটাই দেখার।
ইংল্যান্ডের টার্গেট ২২৪। পুরো ৫০ ওভারের আগেই এক ওভার বাকি থাকতে অস্ট্রেলিয়া অল আউট ২২৩ রানে। জেসন বেহরনডর্ফকে বোল্ড করে দেন মার্ক উড। জয়ের জন্য এজবাস্টনের পিচে সাড়ে চারের বেশি রান রেট রেখে এগোতে হবে।
দুরন্ত ৮৫ রান থেমে গেল দুর্ধর্ষ থ্রো-য়ে। অবশেষে আউট স্মিথ। সতীর্থরা পরপর আউট হয়ে গেলেও একা অস্ট্রেলিয়া ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্মিথ। সেই স্মিথই এবার জস বাটলারের দুরন্ত থ্রো-য়ে রান আউট হয়ে গেলেন। মিচেল স্টার্কের সঙ্গে অবশ্য তার আগেই হাফসেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে দলকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে যাওয়া নিশ্চিত করেছেন। তবে হাফসেঞ্চুরি পার্টনারশিপের পরেই আউট স্মিথ। স্মিথ আউট হওয়ার পরে স্টার্ককে (২৭) ফেরালেন ওকস। ক্রিস ওকসের এটা তৃতীয় শিকার। ৪৭.২ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া ২১৭।
স্মিথ ৮২ রানে একা ব্য়াটিং করছেন। অজি ব্য়াটিংয়ের আজ ত্রাতা তিনি। ৪৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ২০৭। ৭ উইকেটের বিনিময়ে। স্টার্ক ২৮ বলে ২৩ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলছেন। শেষ ৫ ওভার কতদূর টানবে অস্ট্রেলিয়া, সেটাই দেখার।
রশিদের কাছেই কার্যত আত্মসমর্পণ করে বসল অস্ট্রেলিয়া। এবার রশিদ ফেরালেন প্যাট কামিন্সকে। রুটের হাতে ক্যাচ তুলে এবার বিদায় কামিন্সের। নিজের ১০ ওভারের কোটায় ৫৪ রান খরচ করে রশিদ তুলে নিলেন তিন উইকেট। যদিও অন্যপ্রান্তে যথারীতি খেলে চলেছেন স্টিভ স্মিথ (৭৩)। ৪০ ওভারে অজিরা ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৫।
ষষ্ঠ উইকেটের পতন। এবার উইকেট শিকারি জোফ্রা আর্চার। ক্যাপ্টেন মর্গ্যানের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় ম্য়াক্সওয়েলের। ২৩ বলে ২২ রান করে আউট তিনি। ৩৫ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া ১৫৭ রানে ধুঁকছে। তবে স্মিথ এখনও ক্রিজে, এটাই একমাত্র আশা অজিদের। ব্যাট করতে এলেন কামিন্স।
অন্যপ্রান্তে উইকেট পতন অব্যাহত থাকলেও স্টিভ স্মিথ দলকে টানছেন। ঝকঝকে ফিফটি করে তিনি ক্রিজে রয়েছেন। ৭৭ বলে ৫৯ রানে ব্যাটিং করছেন তারকা ক্রিকেটার। নিজের সংযমী ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারি হাকিয়েছেন তারকা।
একই ওভারে জোড়া ধাক্কা। পরপর ফেরালেন অ্যালেক্স ক্যারে ও স্টোয়িনিসকে। ১০৩ রানের পার্টনারশিপে ভাঙন ধরিয়ে আদিল রশিদ প্রথমে ফিরিয়েছিলেন অ্যালেক্স ক্যারেকে। হাফসেঞ্চুরি থেকে ঠিক চার রান দূরে থাকা অবস্থায় রশিদের বল ডিপ মিড উইকেট দিয়ে পাঠাতে গিয়েছিলেন রশিদ। বাউন্ডারির সামনে ক্যাচ পরিবর্ত ক্রিকেটার জেমস ভিনসের। ক্যারেকে দ্বিতীয় বলে ফেরানোর পরে আউট স্টোয়িনিস। ২ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই রশিদের গুগলি বুঝতে না পেরে প্যাভিলিয়নে তারকা। পরপর উইকেট হারিয়ে হঠাৎই চাপে পড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। ২৯ ওভার শেষে ১২৭, ৫ উইকেট হারিয়ে। ক্রিজে এলেন ম্য়াক্সওয়েল।
খেলায় দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ক্যারে-স্মিথের পার্টনারশিপকে অপ্রতিরোধ্য দেখাচ্ছে। ২৭ ওভারে ইতিমধ্যেই স্কোরবোর্ডে ১১৩ তুলে ফেলেছে দু-জনে। কোনও ইংরেজ বোলারই বিব্রত করছে পারছে না দু-জনকে। স্মিথ (৪৪) এবং ক্যারে (৪৭) দুজনেই হাফসেঞ্চুরির দোড়গোড়ায়।
দলীয় স্কোর অনেকক্ষণ আগেই ৫০ পেরিয়েছে। ক্যারে-স্মিথের পার্টনারশিপও হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেছে কিছুক্ষণ আগে। ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া ৭৮ রান। চতুর্থ উইকেটের পার্টনারশিপে দু-জনে তুলে ফেলেছে ৬৪ রান।
ধীরে ধীরে অস্ট্রেলিয়া ম্য়াচে ফেরার চেষ্টা করছে ক্যারে ও স্মিথের পার্টনারশিপে ভর করে। ১৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরে ১৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়া স্কোরবোর্ডে ৪৭ তুলে ফেলল। স্মিথ ১৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। সদ্য ক্রিজে নামা ক্যারে খেলছেন ১২ রান করে।
আগে একবার রিভিউ নিয়ে বেঁচেছিলেন। তবে বেশিক্ষণ টিকলেন না ক্রিস ওকসের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি। ১২ বলে মাত্র ৪ রান করে বিদায় তাঁর। এখান থেকে কী ম্যাচে ফিরতে পারবে অজিরা! এটাই দেখার।
শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে ধুঁকছে অস্ট্রেলিয়া। এজবাস্টনের পিচে আগুন ছোটাচ্ছেন ইংরেজ পেসাররা। স্কোরবোর্ডে ১০ তুলতে না তুলতেই আউট দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ (০) এবং ডেভিড ওয়ার্নার (৯)। ফিঞ্চকে শুন্য রানে লেগ বিফোর করেন আর্চার। ওয়ার্নার ৯ রান তুলেই বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন। ওয়ার্নার-ঘাতক আবার ওকস। ৫ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে অজিরা আপাতত ১৩। অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচে ফেরানোর দায়িত্ব আপাতত স্টিভ স্মিথ ও পিটার হ্যান্ডসকম্ব।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত অস্ট্রেলিয়ার। ঠিক সিদ্ধান্ত নিলেন অজি নেতা অ্যারন ফিঞ্চ?